পাতা:নীলগঞ্জের ফালমন সাহেব - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধুর কাছে একজন লোক এল তারপরে। তারও বর্ণনা মিললো না ; বিধু তাকে বিদায় দিলে পত্ৰপাঠ। যাবার সময় সে নাকি শাসিয়ে গেল, চৌকিদারকে বলবে, দেখে নেবে। আমাদের ইত্যাদি...। Bi DDBBD BB DBDBBYiLLL DDSDDD KBD DBDBD DBB S বাক্স আমরা কুড়িয়ে পাইনি। যাও। BDBBD DB BD DD S বর্ষা পড়ে গেল ভীষণ । সেবার আমাদের নদীতে এল বন্যা । বড় বড় গাছ ভেসে যেতে দেখা গেল নদীর স্রোতে । দু’একটা গরুও আমরা দেখলাম ভেসে যেতে। অম্বরপুর চরের কােপালীরা নিরাশ্রয় হয়ে গেল। নদীর চরে ওদের ছোট ছোট ঘরবাড়ি সেবারেও দেখে এসেছি। কি চমৎকার পটলের আবাদ, কুমড়োর ক্ষেত, লাউকুমড়োর মাচা ওদের চরে । দু’পয়সা আয়ও পেতো তরকারি বেচে । কোথায় রইলো তাদের পটল কুমড়োর আবাদ, কোথায় গেল তাদের বাড়ি-ঘর। আমাদের ঘাটের সামনে দিয়ে কত খড়ের চালাঘর ভেসে যেতে দেখলাম। সবাই বলতে লাগলো অম্বরপুর চরের কােপালীরা সৰ্বস্বাস্ত হয়ে গিয়েছে। একদিন বিকেলে আমাদের চণ্ডীমণ্ডপে একটা লোক এল । বাবা বসে হাত-বাক্স সামনে নিয়ে জমাজমির হিসেব দেখছেন। গ্রামের ভাদুই কুমোর কুয়ো কাটানোর মজুরি চাইতে এসেছে। আরও দু’একজন প্ৰজাপত্তির এসেছে খাজনা দিতে । আমরা দু’ভাই বাবার কড়া শাসনে বইয়ের পাতা ওলটাচ্ছি। এমন সময়ে একটা লোক এসে বললে—দণ্ডবৎ হই, ঠাকুরমশায়। বাবা বললেন-এসে । কল্যাণ হোক । কোথা থেকে আসা হচ্ছে ? -আজ্ঞে অম্বরপুর থেকে। আমরা কােপালী। --বোসে। কি মনে করে ? তামাক খাও। সাজো । লোকটা তামাক সেজে খেতে লাগলো। সে এসেছে। এ গায়ে Se