পাতা:নীলগঞ্জের ফালমন সাহেব - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহেব দাড়াইয়া উঠিয়া বলিবেনই-এই যে ছোড়াডা কৃষ্ট সেজে এসে গানখানা করে গেল, ওরে আমি একটা রুপোর মেডেল দেবেকথা শেষ করিয়াই চারিদিকে ঘুরিয়া ঘুরিয়া হাসিমুখে চাহিয়া বলিতেন -হাততালি-হাততালি অমনি চাটুপটু করিয়া চতুর্দিকে হাততালি পড়িবে। নিজে সকলের अicों झोडडक्लि विन। কোন করুণ ভক্তিরসের ব্যাপার ঘটিলে সাহেব সকলের সঙ্গে “হরিবোল’ দিয়া উঠিবেন। বারোয়ারীতে চাদ দিতে সাহেব যেমন মুক্তহস্ত, তেমনি রক্ষাকালীপূজা বা শীতলা।পুজার অনুষ্ঠানে। তখনকার দিনে বারোয়ারি দুর্গাপূজা বা শ্যামাপূজার রেওয়াজ ছিল না। মিসেস ফালমন মারা যাওয়ার পরে নীলগঞ্জের কুঠার রাঙা “প্যাটেন’ ফুলের গাছ, নদীর ধারের অত বড় বাড়ি, লেবু ও আমের বাগান, পসার প্রতিপত্তি, অর্থসম্পত্তি সব কিছু শ্ৰীহীন হইয়া পড়িল । বাড়ির এক নিম্নজাতীয়া দাসীর সঙ্গে সাহেবের নাম জড়িত হইয়া চারিদিকে প্রচার হইতে লাগিল। মার্জারি ও ডোরা বিবাহ করিয়া বাহিরে চলিয়া গেল। সাহেবের যে ছেলে বিলাতে পড়িত, সে আর এদেশে আসিলই না । শোনা গেল, ইংলেণ্ডেই বিবাহ করিয়া সেখানেই সংসার পাতাইয়া সে ইংলেণ্ডের প্রজাবৃদ্ধির দিকে মন দিয়াছে। এই সময় নীলগঞ্জের কুঠতে এক ঘটনা ঘটিল। বাহির হইতে কে একজন সাহেব আসিয়া কিছুদিন কুঠতে রহিল। এ সময়ে প্যাটও কুঠী হইতে চলিয়া গিয়াছিল। নবাগত সাহেবের নাম মিঃ মুডি। এ অঞ্চলে তাহাকে “মুদি সাহেব” বলিত সবাই। মুদি সাহেব একটু অতিরিক্ত মাত্রায় মদ খাইত। একদিন কি ঘটিয়াছিল কেহ জানে না, গভীর রাত্রে মিঃ ফালমনের সঙ্গে মুদি সাহেবের বাচসার শব্দ শোনা গেল। বাহির হইতে চাকরে বাকরে কিছু বুঝিল না। হঠাৎ বন্দুকের আওয়াজ হইল, সকলে দুটিয়া গিয়া দেখে মুদি সাহেবের রক্তাক্ত প্ৰাণহীন দেহ