পাতা:নীলগঞ্জের ফালমন সাহেব - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোথাও ? যাও এটা দেখে এসো। খুব ভালো মনে হচ্ছে। তোমাব মনের মত। পড়ে দ্যাখে আমাকে আমার স্ত্রী যাহাঁই ভাবুন, হিম হইয়া বসিয়া আমি নাই। সত্যিই খুজিতেছি, মন-প্ৰাণ দিয়াই খুজিতেছি। ভালো জিনিষ পাইলে আমার মত খুশী কেহই হইবে না। বলিলাম-এ কাগজ কোথায় পেলে ? —বীণাদের বাড়ি গিয়েছিলাম। ওরাও জমি খুজিচে, ওদের দেশ থেকে সব উঠে আসচে। ইদিকে, কলকাতার আশেপাশে । ওরা এটা কোথা থেকে আনিয়েচে । পড়িয়া দেখিলাম। লেখা আছে “আচাৰ্য কৃপালনী কলোনি ।” আজই আসুন ! দেখুন!! নাম রেজেষ্ট্রি করুন !!! কলিকতাব মাত্র কয়েক মাইল দূবে অমুক ষ্টেশনের সংলগ্ন সুবিস্তৃত ভূখণ্ডে এই বিবাট নগরটি গড়িয়া উঠিতেছে। সুন্দর প্ৰাকৃতিক দৃশ্য। কলোনিব পাদদেশ ধৌত করিয়া স্বচ্ছ-সলিলা পুণ্যতোয় জাহ্নবী বহিয়া যাইতেছেন। পঞ্চাশ ফুট চওড়া বাস্তা, ইলেকটিক আলো, জলেব কল, স্কুল, মেয়েদের স্কুল, গ্রন্থাগার, নাগরিক জীবনেব সমস্ত সুখ-সুবিধাই এখানে পাওয়া যাইবে । আপাততঃ পঞ্চাশটি টাকা পঠাইলেই নাম বেজেষ্ট্রি কবিয়া রাখা হইবে । ষ্টেশনেব নাম পড়িয়া মনে হইল, কলিকাতাব কাছেই বটে। আমার স্ত্রী বলিলেন-দেখলে ? ভালো না ? —খুব ভালো। বীণাব। কাকা জমি নিয়েচেন এখানে ? --না, নেবেন। নাম রেজেষ্ট্রি কবেচোন। তুমি ওঁর সঙ্গে দেখা করে পঞ্চাশটি টাকা পাঠিয়ে দাও । কাঠা-পিছু পঞ্চাশ টাকা পাঠিয়ে দিতে হবে, জমি পরে দেখো । উনিও ত দেখেননি এখনো। -জমি দেখবো না ? আচ্ছা, বীণার কাকাকে জিগ্যেস করি। R