পাতা:নীলবসনা সুন্দরী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ लिड्रॉ দেবেন্দ্রবিজয় সহজে ছাড়িবার প্রাণ নহেন। তখনই খিদিরপুর। অভিমুখে যাত্ৰা করিলেন। মোজাম হোসেনের সহিত দেখা কবিবার পূর্বে তিনি সেই ফটােগ্রাফ ছবি প্রস্তুতকারীর সহিত দেখা করিলেন। তঁহার নাম কবিরুদ্দীন। ফটোগ্ৰাফ' ছবিতেই তঁহার ” নাম ও ঠিকানা লেখা ছিল, তঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে দেবেন্দ্ৰবিজয়কে বিশেষ কোন কষ্ট স্বীকার করিতে হইল না। কবিরুদ্দীনের নিকটে গিয়া যাতে তিনি শুনিলেন, তাহাতে তঁহাকে আরও আশ্চৰ্য্যান্বিত হইতে হইল। কবিরুদ্দীন বলিলেন, সেই ফটো দুইখানির একখানি মুন্সী মোজাম হোসেনের এবং অপরখানি তাহার কণ্ঠা স্বাঞ্জানের। তিনি দিলঞ্জান বা মুজান সম্বন্ধে কিছু জানেন না । দেবেন্দ্রবিজয়ের বিস্ময় সীমাতিক্ৰম করিয়া উঠিল, তিনি ভাবিতে লাগিলেন, সুজান বিবির ফটো দিলাজানের দেরাজের মধ্যে কেন ? অথচ লাতিমন বাইজী সুজান বিবির ফটোকে দিল জানের প্রতিকৃতি বলিয়া প্রতিপন্ন করিতে চাহে। অবশ্যই লতিমনের এরূপ করিবার একটা গুপ্ত-উদ্দেশ্য আছে ; কিন্তু সে উদ্দেশ্য কি ? হয় ত লতিমনও এই খুনের মামলায় জড়ীভূত আছে; নতুবা তাহার ভ্রম হইয়াছে-এ যে বিষম। ভ্ৰম ! আগে একবার মুন্সী মোজাম হোসেনের সহিত দেখা করি। তাহার পর দেখিতে হইবে, দিলজনের খুনেঃ