পাতা:নীলবসনা সুন্দরী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

StR नौजमनं श्नौ জোহিরুদীনের দোষেই হইয়াছে, তিনি সৃজনকে অত্যন্ত সন্দেহের চোখে দেখিতেন-একে তঁহার বয়স হইয়াছে, তাহার উপরে আবার তিনি অমূলক সন্দেহের বশে সৃজনের সহিত এমন ব্যবহার করিতেন যে, তাহাতে তাহার হৃদয় অধিকার করা দূরে থাক্‌, বরং তঁহার হৃদয়ে যতটুকু স্থান পাইয়াছিল, নিজদোষে তাহাও নষ্ট করিয়া ফেলিলেন। এ দুনিয়ার নিয়মই এই । সে যাহা হউক, আমারও তাহাই বোধ হয় যে, সৃজন ও মনিরুদ্দীনের গুপ্ত-অভিসন্ধি মুজান কোন রকমে টের পাইয়াছিল; পাছে, মনিরুদ্দীন তাহার যেমন সৰ্ব্বনাশ করিয়াছে, তাহার ভগিনীরও সেইরূপ দুৰ্গতি করে, এই আশঙ্কায় হয় ত সে নিজেই ভগিনীকে সাবধান করিতে সেদিন রাত্ৰিতে জোহিরুদ্দীনের বাটীতে গিয়াছিল। সম্ভব, সৃজন মৃজনের কথায় কৰ্ণপাত করে নাই। তাই মৃজান আর কোন উপায় না দেখিয়া মনিরুদ্দীনের বাড়ীতে যায়, মনিরুদ্দীন তখন বাড়ীতে ছিল না।--তাহার পর সেখান হইতে ফিরিয়া আসিবার সময়ে পথে। হতভাগিনী খুন হইয়াছে। এদিকে স্বজান ও নিজে অধঃপতনের পথে অগ্রসর হইয়াছে। তেমন একজন সন্ত্রান্ত, সদাশয় ব্যক্তির পুত্র হইয়া মনিরুদ্দীন যে এরূপে পিতৃনাম রক্ষা করিতেছে, ইহাই আশ্চৰ্য্য!” দেবেন্দ্রবিজয় কহিলেন, “আপনার মুখে যাহা শুনিলাম, তাহাতে আপনার কন্যা দিলজনের খুনের কি কিনারা হইল ?” বিরক্তভাবে মুলী মোজাম হােসেন বলিলেন, “দিলজনের নাম 'আমার কাছে করিবেন না। আপনার কথাই ঠিক, কে মুজানকে খুন করিয়াছে, কেমন করিয়া বলিব ? আপনি যেমন বলিতেছেন, আমারও তাঁহাই বোধ হয়-মজিদ খাঁর কোন দোষ নাই-সে। কেন মৃজনকে খুন করিবে? কোন কারণ দেখি না।”