পাতা:নীলবসনা সুন্দরী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ay নীলবসনা সুন্দরী দেবেন্দ্রবিজয়ু বলিলেন, “মুজান নামে মরিয়া দিলজান নামে সে এতদিন বাঁচিগছিল। এখন সে একেবারেই মরিয়াছে। যখন দেখা যাইতেছে, সৃজনের গৃহত্যাগ এবং মুজানের হত্যা এক রাত্রিরই ঘটনা, তখন খুবই সম্ভব, স্বজান বিবি এই হত্যাকাণ্ডে কিছু জড়িত আছেন।” হরিপ্রসন্ন বাবু দেখিলেন, আবার নূতন গোলযোগ উপস্থিত। সন্দিগ্ধভাবে দেবেন্দ্ৰবিজয়কে জিজ্ঞাসা করিলেন, “স্বজান বিবি নিজের ভগিনী? দলজনকে খুন করিতে যাইবেন কেন, ইহাতে তাহার স্বাৰ্থ কি ?” : (দেবেন্দ্রবিজয় মৃদুহান্তে বললেন, “ওকালতী আর ডিটেক্টভগিরি একই জিনিষ নহে, হরিপ্রসন্ন বাৰু!') -- মুন্সী সাহেব বলিলেন, “তাহা হইলে আপনি কি এখন সৃজনকেই ধুনী মনে করিতেছেন, ইহাতে তাহার স্বাের্থ কি ?” ঐ দেবেন্দ্রবিজয় বলিলেন, “এখনও কি আপনারা বুঝিতে পারেন। ষ্টি-স্বাৰ্থ কি ? উভয় ভগিনী এক ব্যক্তিরই প্ৰেমাকাজিহ্মণী । এরূপ স্থলে একজন অপরকে খুন করিবার যে কি স্বাৰ্থ, তাহা পরিষ্কার বুঝা যাইতেছে।” মুলী সাহেব বলিলে, “স্বজনের স্বভাব-চরিত্র কলঙ্কিত হইলেও আমার বিশ্বাস হয় না, স্ত্রীলোক হইয়া সে সহসা এতটা সাহস করিতে পারে।” । দেবেন্দ্রবিজয় বলিলেন; পুরুষের অপেক্ষা গ্ৰীলোকের সাহস। অনেক বেশি ; প্রেম-প্রতিযোগিতায় ঈর্ষায় যখন তাহারা মরিয়া হইয়া উঠে, তখন তাহারা সকলই করিতে পারে; একটা খুন ত অতি সামান্ত কথা !") { · · এমন সময়ে একজন ভৃত্য আসিয়া মুলী সাহেবের হাতে একখানি পত্র দিল। তিনি তখনই পত্ৰখানি খুলিয়া পাঠ করিলেন। পাঠাস্তে