পাতা:নীলবসনা সুন্দরী - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अङ्छ-हैदवमा , , ቅ¢ꬃ দেবেন্দ্রবিজয় বলিলেন, “লোক নয়- একজন স্ত্রীলোক-একজন স্ত্রীলোক দ্বারাই এই কাজ হইয়াছে। সে এখন নিজের মুখে খুন স্বীকার করিয়াছে।” জোহের আরও ব্যাকুলভাবে জিজ্ঞাসা করিল, “কে এমন স্ত্রীলোক? নাম কি ?” দেবেন্দ্ৰবিজয় বলিলেন, “দিলজান ।” জোহের সবিস্ময়ে প্ৰতিধ্বনি করিয়া বলিল, “দিলজান ৷” হরিপ্ৰসন্ন বাবু বলিলেন, “আশ্চৰ্য্য ব্যাপার!” মজিদ খাঁ বলিলেন, “ভয়ানক ?” দেবেন্দ্রবিজয় দলিলেন, “আশ্চৰ্য্য ব্যাপারই হউক, আর ভয়ানক ব্যাপারই চট্টক-দিলজান এখন নিজের মুখে খুন স্বীকার করিয়াছে। সেই খুনের রাত্ৰিতে দিলজান দারুণ ঈর্ষা-দ্বেষে মরিয়া হইয়া মেহেদীবাগান পৰ্য্যন্ত সৃজনের অনুসরণ করিয়াছিল। সেইখানে সে সুজানকে নিজ হন্তে খুন করিয়াছে।” সন্দিগ্ধভাবে মজিদ খাঁ জিজ্ঞাসা করিলেন, “কিরূপ ভাবে, কোন অস্ত্ৰে খুন করিয়াছে, দিলজান কি তাহা কিছু বলিয়াছে ?” “এই ছুরিতে সে সুজানকে খুন করিয়াছে; দিলীজান খুন স্বীকার করিয়া নিজের হাতে এই চুরি আমাকে দিয়াছে।” বলিয়া দেবেন্দ্রবিজয় সেই দিলাজান-প্রদত্ত ছুরিখানি বাহির করিয়া দেখাইলেন।” মজিদ খাঁ বিস্মিতভাবে দেবেন্দ্রবিজয়ের মুখের দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ইহা কি আপনি বিশ্বাস করেন ?” 1. দেবেন্দ্রবিজয় বলিলেন, “প্রথমতঃ আমি একটী কথাও বিশ্বাস করি নাই। এখন আমার মনে সন্দেহ হইতেছে, যদি দিলজান নিজেই খুন। না করিবে, তবে কেন সে নিজের মুখে খুন স্বীকার করিতেছে ?” নী-১৭