পাতা:নীলবসনা সুন্দরী - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রূহািন্ত-বৈষমা ৷ 良意拳

  • মজিদ খাঁ কহিলেন, “না, আমি ঠিক জানি না। যাহা জানি, আপনাকে বলিতেছি। আমার মনে একটা ঘোরতর সন্দেহ রহিয়াছে; মেহেদী-বাগানের সেই স্ত্রীলোকের লাস যে সৃজানের, তাহা আমি প্ৰথমেই জানিতে পারিয়াছিলাম। জানিয়াও নাম প্ৰকাশ করিতে সাহস করি নাই। সাহস না করিবার কারণই হইতেছে, আমি যাহা দেখিয়াছি, অতি ভয়ানক। দিলজান যে খুন করে নাই, আমার এই দৃঢ়বিশ্বাসের তাহাই একমাত্র কারণ। আমি পূর্বেই বলিয়াছিলাম, সেদিন খুনের রাত্ৰিতে সৃজন রাগিয়া চলিয়া গেলে, আমি তাহার অনুসরণ করতে বাহির হইয়া পথে আর তাহাকে দেখিতে পাই নাই, এ কথাটা একেবারে মিথ্যা-বাধ্য হইয়া আমাকে সত্য গোপন করিতে হইয়াছিল। সৃজন নিজের বাড়ীর দিকে গিয়াছে মনে করিয়া, আমি বাহির হইয়াই কলিঙ্গাবাজুরের পথে প্রথমে যাই। কিছুদূর গিয়া দেখি, পথিপার্শ্বস্তু লণ্ঠনের নীচে-নীচে অস্পষ্ট অন্ধকার-সেই অন্ধকারের মধ্যে দাড়াইয়া একজন লোকের সহিত সুজান বিবি কি বকবক করিতেছে। লোকটা কথায় কথায় খুব রাগিয়া উঠিল— স্বরও ক্রমে খুব উদ্ধে উঠিল। ক্ৰমে সেই লোকটা সুজানের একহাতে গলা টিপিয়া ধরিয়া, অপর হাতে জোর করিয়া গলা হইতে কণ্ঠহার। ছিনাইয়া লইল । সহসা স্বজান ব্যাকুলকণ্ঠে চীৎকার করিয়া উঠিল; এবং প্রাণপণে মেহেদী-বাগানের দিকে ছুটয়া চলিয়া গেল। লোকটাও সেইদিকে উৰ্দ্ধশ্বাসে ছুটিয়া গেল। আমি তাহদের অনুসরণ করিয়া মেহেদী-বাগানের দিকে ছুটিলাম। চারিদিকে যেমন কুয়াসা, তেমনি ভয়ানক অন্ধকার, তাহদের কাহাকেও কোথাও দেখিতে পাইলাম না। আপনার বােধ হয় স্মরণ আছে, স্বজনের গলদেশে একটা আঁচড়ের দাগ ছিল-তােহা জোর করিয়া কণ্ঠহাল্প ছিনাইয়া লইবার দাগ । আমার বোধ হয়, সেই লোকটা সেই সময়েই সৃজনের গায়ে কোন