পাতা:নীলবসনা সুন্দরী - পাঁচকড়ি দে.pdf/৭

鸚 নীলবসনা সুন্দরী তোর ভেইয়া রে, যাওয়ে যােৱ স্নহে* * * তেরা পাও পড়ি, মেয়ি জানি।” বীণানিক্কণবৎ কণ্ঠ কি মধুর! সেই মধুর কণ্ঠে কি মধুরতর তান ধরিয়াছে-ভৈরবীর সুমিষ্ট ঐ আলাপ! মীড়ে, গমকে, মূহুৰ্ণায়, গিটাকারীতে, উদারা মুদারা তারা তিনগ্রামে, প্ৰক্ষেপে ও বিক্ষেপে, ঘড়ুজ গান্ধার রেখাব পঞ্চম, ধৈবত প্রভৃতি সপ্তম্বরে সেই মধুর কণ্ঠ কি অনাস্বাদিতপূৰ্ব্ব পীযুষধারা বর্ষা করিতেছে! প্রাঙ্গণ সুন্দরীরূপে সজ্জিত, উৰ্দ্ধে বহুশাখাবিশিষ্ট ঝাড় ঝুলিতেছে, তাহাতে অগণ্য দীপমালা। লাল, নীল, পীত, শ্বেত-বৰ্ণবিচিত্ৰ পতাকাশ্রেণী। নিম্নে বহুমূল্য গালিচা বিস্তৃত, রজত নিৰ্ম্মিত আতরদান, গোলাপপাশ, আলবোলা, শটুকা এবং তাম্বুল-এলাইচপূর্ণ রাজত পাত্রের "ছড়াছড়ি । চারিপাশ্বে গৃহ-প্রাচীরে দেয়ালগিরি, তাহাতে অসংখ্য দীপ জ্বলিতেছে। অলিন্দে অলিন্দে -লাল, নীল, সবুজ, জরদ বিবিধ বর্ণের স্কটিক-গোলাকমালা দুলিতেছে, তন্মধ্যস্থিত দীপশিখা বিবিধ বর্ণের আলোক বিকীর্ণ করিতেছে। স্তম্ভে স্তন্তে দেবদারপত্র, চিত্র, পতাকা । শু পুষ্পমাল্য শোভা পাইতেছে। আলোকে পুলকে সকলই উজ্জ্বলতর দেখাইতেছে। উৰ্দ্ধে, নিম্নে, মধ্যে, পার্থে সহস্ৰ দীপ জ্বলিতেছে। সেই উজ্জ্বল আলোকে বাইজীর সন্মার কাজ করা ওড়না এক-একবার ঝকমক্‌ করিয়া জলিতেছে। ঈষন্মুক্ত বাতায়নগুলির পার্শ্বে সুন্দরীদিগের অসংখ্য উজ্জ্বল কৃষ্ণচক্ষুঃ তদধিক জ্বলিতেছে, কেহ কেহ বা সেই উজ্জ্বল চক্ষুঃ বারেক দৃষ্টি করিয়া অন্তরে তদাধিক জ্বলিতেছে। , , আসরে নৰ্ত্তকী গায়িতেছে। নৰ্ত্তকীর নাম গুলজার-মহল । 'ইিণ্ডল জার-শহুল কলিকাতার প্রসিদ্ধ বাইজী। তাহার, গান শুনিতে চৌধুরী। সাহেবের বাড়ীতে লোক ধরে না-শ্রোতৃবর্গে প্রাঙ্গণ ভরিয়া গিয়াছে।