(২০)
সৈরি। (সরোষে এবং হাস্য বদনে) দূর পোড়াকপালি, সকল কথাতেই তামাসা—ঠাকুরুন কইলো—
(সাবিত্রীর প্রবেশ)
এই যে এসেছেন।
সাবি। ঘোষ বউ এইচিস, তোর মেয়ে এনিচিস বেস করিচিস—বিপিন আবদার নিচ্লো তাকে শান্ত কর্যে বাইরে দিয়ে এলাম।
রেবতী। মাঠাকুরুণ পর্ণাম করি। ক্ষেত্র তোর দিদি মারে পরণাম কর।
(ক্ষেত্রমণির প্রণাম।)
সাবি। সুখে থাক, সাত বেটার মা হও—(নেপথ্যে কাশি) বড় বউম ঘরে যাও বাবার বুঝি নিদ্রা ভেঙ্গেছে— আহা! বাছার কি সময়ে নাওয়া আছে না সমরে খাওয়া আছে, ভেবে ভেবে নবীন আমার পাত খানি হয়ে গিয়েছে-(নেপথ্যে “আদুরী’’) মা যাওগো জল চাচ্চেন বুঝি।
সৈরি। (জনান্তিকে আদুরীর প্রতি) আদুরী দেখ তোরে ডাক্চে।
আদুরী। ডাক্চেন মোরে, কিন্তু চাচ্চেন তোমারে।
সৈরী। পোড়ার মুখ—ঘোষ দিদি আর এক দিন আসিস্।
(সৈরিন্ধ্রীর প্রস্থান।)
রেবতী। মাঠাকুরুণ, আরতো এখানে কেউ নেই— মুইতো বড় আপদে পড়িছি, পদী মহারাণী কাল মোদের বাড়ি এয়েলো—
সাবি। রাম্ রাম্ রাম্ ও নচ্ছার বেটিকেও কেউ বাড়ি আস্তে দেয়—বেটির আর বাকি আছে কি, নাম লেখাইলে হয়।