(২৩)
আদুরী। বিবিরে আমি দেখিছি, নজ্জাও নেই, সরমও নেই—জ্যলার হাকিম মাচেরটক্ সাহেব, কত নাঙ্গাপাকড়ি তেরোনাল ফির্তি থাকে, মাগো নাম কল্লি প্যাটের মধ্যি হাত পা সেঁদোয়—এই সাহেবের সঙ্গি ঘোড়া চেপে ব্যাড়াতি এয়েলো। বউ মানসি ঘোড়া চাপে!—কেশের কাকি ঘরের ভাশুরির সঙ্গি হেঁসে কথা কয়লো, তাই লোকে কত নজ্জা দেলে, এতো জ্যtলার হাকিম।
সাবি। তুই আবাগি কোন্ দিন মজাবি দেক্চি। তা সন্ধ্যা হলো, ঘোষবউ তোরা বাড়ি যা, দুর্গা আছেন।
রেবতী। যাই মা, আবার কলু বাড়ি দিয়ে তেল নিয়ে যাব, তবে সাঁজ জ্বলবে।
(রেবতী ও ক্ষেত্রমণির প্রস্থান)
সাবি। তোর কি সকল কথায় কথা না কইলে চলে না?
(সরলতার কাপড় মাথায় করিয়া প্রবেশ)
আদুরী। এই যে ধোপাবউ কাপড় নিয়ে আলেন।
(সরলতর জিবকেটে কাপড় রাখন্)
সৈরি। ধোপাবউ কেন হতে গেললা, আমার সোণার বউ আমার রাজলক্ষী (পৃষ্ঠে হস্ত দিয়া) হ্যাঁগ মা, তুমি বই কি আর আমার কাপড় আনিবার মানুষ নাই—তুমি কি এক জায়গায় ১ দণ্ড স্থির হয়ে বসে থাক্তে পার না—এমন পাগ্লির পেটেও তোমার জন্ম হয়েছিল—কাপড়ডায় ফালাদিলে কেমন করে, তবে বোধ করি গায়েও ছড় গিয়েছে—আহা! মার আমার রক্ত কমলের মত রং, এক্টু ছড় লেগেছে যেন রক্ত ফুটে বেরোচ্চে। তুমি মা আর অন্ধকার সিঁড়ি দিয়ে অমন কর্যে যাওয়া আসা করো না।