পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯ) o নীল-দপণ । জলী-বাবা আমার কাদিতে কাদিতেষ্ঠাত্রা করলেন-আমার নবীন এই রোষ্ট্রে ইস্রাবাদে গেল আমি ঘরে বসি রলাম । মহা পাপিনী ! এই কি তোর মার প্রাণ !— (দৈরিদ্ধীর প্রবেশ । ) সৈরি । ঠাকুরণ ! অনেক বেলা হয়েচে, স্নান কর । আমাদের অভাগা কপাল, তা নইলি এমন ঘটনা হবে ক্যান । সাবিত্রী । ( ক্ৰন্দন করিতে২ ) না মা ! আমার নবীন বাড়ী না ফিরে এলে আমি আর এদেহে অন্ন জল দেব না, বাছারে অামার খাওয়াবে কে ? সৈরি । সেখানে ঠাকুরপোর বাসা আছে, বামন আছে, কষ্ট হবে না। তুমি এস স্নান করসে । ( তৈলপত্র লইয়া সরলভার প্রবেশ । ) ছোট বউ ! তুমি ঠাকুরুণকে তৈল মাখায়ে স্নান করায়ে রান্নাঘরে নিয়ে এস, আমি খাওয়ার জায়গা করিগে । - ( সৈরিন্ধীর প্রস্থান সরলতার তৈলমৰ্দ্দন । ) সাৱিত্ৰী। তোতাপার্থী আমার নীরব হয়েছে, মার মুখে আর কথা নেই, মা আমার বাসি ফুলের মত মলিন হয়েছেন। আহ আহা ! বিন্দুমাধবকে কত দিন দেখি নেবাবার কালেজ বন্দ হবে বাড়ী আসবেন আশা কর্যে রইচি, তাতে এই দায় উপস্থিত ! ( সরলতার চিবুকে হস্ত দিয়া ) বাছার মুখ শুকাইয়া গিয়াছে, এখন বুঝি কিছু খাওনি ? ঘোর বিপদে পড়ে রইচি তা বাছাদের খাওয়া হলো কি না দেখিব কখন ? আমি আপনি স্নান করিতেছি, তুমি কিছু খাওগে মা, চল আমিও যাই । ( উভয়ের প্রস্থান । )