পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-দপণ । や登 হয় না, ধৰ্ম্মাবতীর ! গোলোকচন্দ্র বসু যে সুচরিত্রের লোক তাহা জেলার সকল লোকে জানে, আমলাদিগের জিজ্ঞাসা হইলে প্রকাশ হইতে পারে— গোলোক । বিচারপতি ! আমার গত বৎসরের নীলের টাকা চুকৃয়ে দিলেন না, তবু আমি ফৌজদারির ভয়েতে ৬০ বিঘা নীলের দাদন লইতে চাহিয়াছিলাম। বড়বাবু বলিলেন “ পিতা ! অামারদিগের অন্য অীয় অাছে, এক বৎসর কিম্বা দুই বৎসরের নীলের লোকসানে কেবল ক্রিয় কলাপি বন্দ হবে, একবারে অন্নাভাব হবে না, কিন্তু যাহাঁদের লাঙ্গলের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর তাহারদের উপায় কি ? আমরা এই হারে নীল করিলে লকলেরি তাই করিতে হইবে। ’ বড়বাবু একথা বিজ্ঞের মত বলিলেন, আমি কাষে কাযেই বলিলাম তবে সাহেবের হাতে পায় ধরে ৫০ বিঘায় রাজি করগে । সাহেব ই। না কিছুই কলেন না, গোপনে গোপনে আমাকে এই বৃদ্ধ দশায় জেলে দেবীর ঘোগড় করিলেন। কামি জানি, সাহেবদিগের রাজি রাখিতে পারিলেই মঙ্গল । সাহেবদের হাকিম ভাই ব্রাদার ; সাহেৰদের অমতে চলিতে আছে ? অামাকে খালাস দেন, আমি প্রতিজ্ঞা করিতেছি যদিও হাল গুরু অভাবে নীল করিতে না পারি, বৎসর বৎসর সাহেবকে এক শত টাকা নীলের বদলে দিব ! আমি কি রাইয়দের শেখাইবার মানুষ ? অামার সঙ্গে কি তাহদের দেখা হয় ? প্র মোক্তার । ধৰ্ম্মাবতীর ! যে ৪ জন রাইয়াত সাক্ষ্য দিয়াছে, তাহার এক জন টিকিরি, তার কোন পুরুষে লাঙ্গল নাই, তার জমি নাই, জৰা নাই,গোরু নাই গোয়াল ঘর নাই,সারেজমিনে তদারক হইলে প্রকাশ হইবে, কানাই তরফদার ভিন্ন গ্রামের রাইয়ত, তাহার সহিত আমার মকেলর কখন দেখা নাই, সে (S )