পাতা:নীল-দর্পণ নাটক - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় অঙ্ক।
৪৫

আমরা পাঁচ বয়স্যায় একত্রে উদ্যানে যাইতে পারি না, আমরা নগর ভ্রমণে অক্ষম, আমাদিগের মঙ্গলসূচক সভা স্থাপন সম্ভব না, আমাদের কালেজ নাই, কাছারী নাই, ব্রাহ্মসমাজ নাই — রমণীর মন কাতর হইলে বিনােদনের কিছু মাত্র উপায় নাই, মন অবোধ হইলে মনেরতো দোষ দিতে পারি না। প্রাণনাথ আমাদের একমাত্র অবলম্বন — স্বামীই ধ্যান, স্বামীই জ্ঞান, স্বামীই অধ্যয়ন, স্বামীই উপার্জ্জন, স্বামীই সভা, স্বামীই সমাজ, স্বামীরই সতীর সর্ব্বস্বধন। হে লিপি! তুনি আমার হৃদয় বল্লভের হস্ত হইতে আসিয়াছ, তােমাকে চুম্বন করি, [লিপি চুম্বন] তােমাতে আমার প্রাণকান্তের নাম লেখা আছে, তােমাকে তাপিত বক্ষে ধারণ করি, [বক্ষে ধারণ] আহা! প্রাণনাথের কি অমৃত বচন, পত্রখানি যত পড়ি ততই মন মােহিত হয়, আর একবার পড়ি (পঠন)

 “প্রাণের সরলা!

তােমার মুখারবিন্দ দেখিবার জন্য আমার প্রাণ যে কি পর্য্যন্ত্ব ব্যাকুল হইয়াছে তাহা পত্রে ব্যক্ত করা যায় না! তােমার চন্দ্রানন বক্ষে ধারণ করিয়া আমি কি