পাতা:নীল কমিসনরদিগের রিপোর্ট.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( $ 8 ) হাজার বিঘা জমীর চাস আবাদ ও তাছাতে যে নীলের গাচ হয় তাহার নীল তৈয়ারিতে ৫০ । ৬ • হাজার টাকা ব্যয় হইয়। প্রায় ছুই লক্ষ টাকার মাল জন্মে । ২৮ দফা !—নীল কাট৷ ইয়া গেলে পর সেই সকল জমীতে যদ্যপি খন্দ বুনানি না হয় তবে নিজ আবীদের সকল খরচ মায় জমির খাজানা নীলের উপর পড়ভ1 হয়—কিন্তু প্রজার খন্দ বুনানি করিলে তাহার। জমির খাজানার ভাগ দেয় । ৩• দফা —জেলা বৰ্দ্ধমানের কালনার কুঠী ও মুরসিদtবাদের রামনগরের কুঠীতে যে পরিমাণে নিজ আবাদের চাস আছে অন্য স্থানে তাহা হইবার সম্ভাবনা নাই-বাঙ্গাল। প্রদেশের পুৰ্ব্ব অঞ্চলে জঙ্গল পরিস্কার করিয়৷ ষত ইচ্ছ। জমী পাওয়৷ যাইতে পারে কিন্তু মজুরের অভাবে সে সকল স্থানে নিজ আবাদের স্থবিদ। হয় না। ৩১ দফা –নিজ আবাদের বিষয় উপরে লিখিত হইল এইক্ষণে রাইয়তি চাসের বিষয়ঠবিচার করিতে হইবে— বাঙ্গালাদেশে খোদ খাস্ত ও পাইখাস্ত এই দুই প্রকার প্রজা অাছে—নীল চাষ করিবার জন্য প্রজারা ১ বৎসর বা ৩ ও ৫ অথবা ১০ বৎসরের জন্যে চুক্তি করে—কুঠীর লোকেরা ষে জমী পছন্দ করিবে সেই জমিতে চাস প্রস্তুত করিয়া নীল বিচ বুনানি করিয়া দিবে ও নীলের চার বাছির হইলে সেই জমী নিড়ানি ও নীলের গাছ কাটিয়া কুঠীতে ঢোলাই করিয়৷ দেওন জন্য ফি বিঘাতে ২ টাকার হিসাবে আকৃটোবর ও নবেম্বর মাসে প্রজার দাদন লইয়া থাকে-প্রজার কুঠিতে নীলের গাচ লইয়া গেলে কতকগুলী গাচ একত্র করিয়া ৪ হাত লম্ব। এক সিকলের দ্বায়া মাপ হইয়ণ থাকে, তাহাকে বাণ্ডিল বলে এবং প্রত্যেক প্রজ। এই মাপে কত বাণ্ডিল দাখিল করিলেক তাঙ্কণর এক রসাদ পায়—নীল তৈয়ারী সমাপ্ত হইলে পর আগষ্ট অথবা সেপ্তেম্বর মাসে কুঠীতে হিসাব তৈয়ার হইলে স্বাকৃটোবর মাসে প্রজারা কুঠীত্বে উপস্থিত হইয়া দেন। পাওয়ানা 7 মোকণবেলা করিয়া নিম্পত্ত করে-—২ টাকার হিসাবে প্রজ যত টাকা দাদন পায় তাহা ও ষে ইষ্টাম্প কাগজে চুক্তিনাম লেখা হয় তাহার মুল্য এবং ফি বিদায় ৪০ চারি জ্ঞান