পাতা:নীল কমিসনরদিগের রিপোর্ট.pdf/২০

( S & ) হিসাবে নীল বিচের দাম, ও মাঠ হইতে কুঠিতে নীল ঢোলাই করিতে যে গাড়ি ভাড়া ব্যয় হয় তাহ এবং প্রজার পুৰ্ব্ব বৎসরের ৰে টাকা লহন। বাকী এই সকল একত্র করিয়া প্রজার নামে খরচ লেখা যায়—এবং প্রথম ষে কয় বাণ্ডিল নীল পাত দাখিল করিয়া থাকে তাহ হিসাব করিয়৷ সেই মুল্য তাহার নাম জমা হয়—এই জমা খরচ মিলাইয়। ষদ্যপি প্রজার ফাজিল পাওয়ানা হয় তবে তৎক্ষণাৎ তাহাকে নগদ টাকা দেওয়া হয়, কিন্তু প্রজ হিসাবে দেনদণর হইলে আগামী বৎসরের চাসের জন্য ষে আগম দদিন পাইবে তাহা তাহার দেন হইতে পরিশোধ হয় ষথ। পাচ বিঘার চাষ থাকিলে যদ্যপি প্রজা ৪ টাকা দেনদণর হয় তবে তবে সে বৎসর সে ব্যক্তি ৬ ছয় টাকার অধিক পায় ন— যে প্রজার হিসাবে অধিকু দেন থাকে সে ব্যক্তি নুতন দাদন স্বৰূপ টাকা পায় না কিন্তু কখন২ নীলকরের এমন দায় গ্রন্থ প্রজার প্রতি কৃপা কfরয় স্বতন্ত্র কঞ্জ বাবদে কিছু টাকা দেয় অথবা তাহার দেনার কিয়দংশ অথবা সমুচয় মাফ করে —কে1স ২ স্থানে নীলকর, সাহেবেরদের মেজাজের বিভিন্নতায় উপরোক্ত প্রথার কিছু ইতর বিশেষ হয় কিন্তু প্রায় সকল স্থানেই উল্লিখিত প্রণালিত রাইয়তি চাস চলিয়া থাকে— গড় পড়ত। হিসাবে ১ বিঘা জমীতে ১৪ । ১২ বাণ্ডিল নীল জন্মে এবং এক হাজার বাণ্ডিলে ৫ পাচ মোন মাল হয় । ৩২ দফা –কোন ২ সাক্ষির জবানবন্দীতে প্রকাশ হুইয়াছে ষে সখের দাদন নামক নীল অপবাদের আর এক প্রকার প্রথা আছে—এই প্রথানুসারে প্রজ্ঞাতে দাদন পায় কিন্তু বিচের দাম ও কণটাই ও ঢোলাই খরচ তাহাকে দিতে হয় ন!— প্রজা কেবল মাত্র চাস ও বুনানি কব্লিয়। দেয় এবং ফি টাকায় ৪ অথবা ৬ বাণ্ডিল পাতির হিসাবে মজুর। পায়—তদৃতিম আর এক প্রকার অাছে যাহাতে প্রজী এক কালে দাদন লয় না। কিন্তু কুঠি ইইতে বিধায় । • চারি অান হিসাবে নীলের বিচ ক্রয় করিয়া লইয়া যায় এবং আপন খরচে চাস আবাদ করে-- কিন্তু এই ছুই প্রথা অতি অন্প পরিমাণে চলিত আছে । ৩৩ দফ। —সাক্ষিদিগের জবানবুন্দীতে ইহাও প্রকাশ হুইয়াছে যে রন্থপুর জেলাতে প্রজার অন্যান্য বাণিজ্য ও চাসের