পাতা:নীল কমিসনরদিগের রিপোর্ট.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( > 9 ) ন্যায় নীল পাত জন্মাইয়ণ পূৰ্ব্বে কুঠির সহিত কোণ চুক্তি না করিয়া বাজার দামে পাতি কুঠিতে বিক্রয় করে— এই প্রকারে লক্ষ ২ বাণ্ডিল নীল ৪ বাণ্ডিলের হিসাবে প্রতি বৎসর বিক্রয় হয়—এস্থলে দণদন দেওয়ার সুবিদ। নাই কারণ এক প্রজ এক কুঠির দাদন লইয়। নীলপাত তৈয়ার হইলে পর অন্য কুঠিতে অনায়াসে বিক্রয় করিতে পারে। ৩৪ দফা –ত্রিহট্ট অঞ্চলে স্বতন্ত্র প্রথায় নীলের চাস আবাদ হয়—এ প্রদেশের তিন বিঘা জমীতে তথাকার এক বিঘা মাপ হয় এবং প্রঞ্জারা ঐ মাপের প্রত্যেক বিঘা জমীতে নীলআবাদ করিবার জন্য ৩তিন টাকা করিয়া দাদন পায় তন্মধ্যে বরিষা কালে দুই টাকা এবং বুলানির সময় এক টাকা পায়—বঙ্গদেশের ন্যায় ত্ৰিহট্টে কুঠির লোকের জমী পছন্দ ও চাষ তদারক করিয়া লইয়। স্থাকে, কিন্তু প্রজার। এখানে দাদনের হিসাবে যে প্রকার কুঠির খাতায় ঋণ গ্রস্থ হয় তথায় তাহা হয় না—ত্ৰিহট্টে প্রত্যেক প্রজার মোট ফসলের উপরে দাম ধার্ষ্য হয়—যদ্যপি বিচ বুন হইলে পর এক কালে অজন্ম হয় তবে প্রজ। তাহার মেহনতের দাম ও জমির খাল্লানাস্বৰূপ আর এক টাকা পায় কিন্তু ফসল হইলে দাদন ভিন্ন মোট তিন টাকা ছয় আপনার অধিক পায় ন৷ অতএব ইহার দ্বারা বোধ হইতেছে ৰে ত্ৰিহট্টের প্রজার কোন প্রকারে কুঠির হিসাবে ঋণ গ্রস্থ হয় না, কারণ প্রজার স্বমীতে একটি নীলের গাচ না হইলে ও ৪ টাকার কম পায় না। কিন্তু উৎকৃষ্ট ফসল হইলে ৬॥y ছয় টাকা দশ অনার অধিক পায় না-আমরা জ্ঞাত হইলাম যে এবৎসর সে দেশে কুঠিওয়ালার। নীলপাতের দাম বৃদ্ধি করিয়াছেন ।

  • ৩৫ দফা —আলাহাবাদ এবং উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে যে প্রকারে নীলের চাষ হৰ তাহী সওরস সাহেবের জবানবন্দীতে বিলক্ষণৰূপে ব্যক্ত হইয়াছে—ইংরাঞ্জদিগের রাজ্য হইথায় পুৰ্ব্ব অবধি আলিগড় মধুরা এবং ফরাক্কাবাদ প্রভৃতি প্রদেশে নীল তৈয়ার হইত কিন্তু তাহাতে ভাল মালু জন্মিত ন— জমীদার এবং ধনাড্য চাসি ব্যক্তির কুঠি হইতে নীলপাতের কন্ট,াকৃট লইয়া আপনার ছোট২ চাষার দ্বারা পাত জন্মাইয়।