পাতা:নীল কমিসনরদিগের রিপোর্ট.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ७१ ) ১৮৫৭ সালের পূৰ্ব্বে যে সকল ব্যক্তিরা এমন ব্যাপারে লিপ্ত ছিলেন তাছাদের প্রতি বিচারের ক্ষমভ প্রদান হইত না ; " | ১৪ ৪ দফা —রাজ শাসন সম্পৰ্কীয় কোন বিশেষ কারণ জন্য ১৮৫৭ সালে নীলকরদিগকে এই প্রকার বিনা বেতনে মাজিষ্ট্রেটি ক্ষমতাপৰ . করা হইয়াছিল এবং এইক্ষণে ও ভারতবষের অন্যান্য ক এক স্থানে তাহ প্রচলিত করা ষাইতেছে—কিন্তু বঙ্গদেশের যে অবস্থা তাহাতে এই প্রথা চলিলে ভাল হুইবার সন্তাবনার প্রতি আমরা অভ্যস্ত সন্দেহ করি— যদ্যপি পুৰ্ব্বকাল এবং অন্যান্য দেশের লোক অপেক্ষ বঙ্গদেশের প্রজার অনেক সভ্য ও বুদ্ধিমান তথাপি বিলাত স্থদেশের তুল্য নহে এবং কাজেই বিলাতে জমাদার প্রভূতির হস্তে ফৌজদারী ক্ষমতা থাকতে তথায় যে প্রকার উপকার হইতেছে তাহা এখানে হইবার সত্ত্ববন নাই-পদরি সাহেবৃদিগের নিকট আমরা শুনিয়াছি যে নীলকরদিগের প্রতি ফৌজদারী ক্ষমতা হওয়ার কালে প্রজার অত্যন্ত ভীত হইয়াছিল এবং এই ক্ষমতার প্রভাবে তাহদের সহিত কণরবারি প্রজাদিগের প্রতি নীলকরেরা যে চিরকালের জন্য প্রজ্ঞাদিগকে হস্তগত কfরয় রাখিবে তাহ। ভাস্কার বুঝিয়াছিল—ইহা অনেকে কঙ্কিয়া থাকেন যে আইনের অনুমতি না থাকাতেও নীলকরের সকলেতে আপন২ কুঠিতে কাছারী করিয়.প্রজাদিগের মামল। মোকদন। বিচার ও বিবাদ নিম্পত্ত করিয়া থাকেন, এবং ঐ সকল কাছারিতে বহু লোকে স্বেচ্ছাপুৰ্ব্বক নালিশ উপস্থিত করে -ইহা সত্য বটে—কিন্তু এই সকল কাছারীতে সুদ্ধ তুচ্ছ বিষয়ের অখব। কুঠির চাকর লোকের কাঙ্কারে প্রক্তি অত্যাচার এবং অন্যায় আচরণ করিলে তৃণহার বিরুদ্ধে নালিশ করিতে যায়— আমরা ইহা স্বীকার করি ষে এই প্রকার কাছারি ও বিচার করা অনেক বিষয়ের জন্য উপকারি ও প্রসংসনীয় যে কেতুক প্রজার স্লেচ্ছাপূৰ্ব্বক তথায় ষষ্টিয়া নালিশ উপস্থিত করে; কিন্তু সরকারের জানিত হইলে নীলকরের ও ভহিণদের চাকর লোকের। এই উপলক্ষে প্রজ্ঞার উপরে অত্যাচার করিবে এবং সকলকে তাহণদের নিকট নালিশ করিতে বাধ্য করিবে-এইক্ষণে নীলকরের সহিত প্রজার শক্ততাব নাই কিন্তু তদপেক্ষাও অধিক