শিবামুখী চিমটে
ঝিণ্টুর মুখ থেকে থার্মমিটার টেনে নিয়ে তার মা বললেন, নিরেনব্বুই পয়েণ্ট চার। আজ রাত্তিরে শব্দ দুধবার্লি খাবি। ঘুরে বেড়াবি না, এই ঘরে থাকবি। আমাদের ফিরতে কতই আর দেরি হবে, এই ধর রাত বারোটা।
ঠোঁট ফুলিয়ে ঝিণ্টু বলল, বা রে, তোমরা সকলে মজা করে মাদ্রাজী ভোজ খাবে আর আমি একলাটি বাড়িতে পড়ে থাকব, হুঁ—
—আরে রাম বল, ওকে কি ভোজ বলে! মাছ নেই, মাংস নেই, শুধু তেঁতুলের পোলাও, লংকার ঝোল, আর টক দই। যজ্ঞুস্বামী আয়ার ওই অফিসের বড় সায়েব, তাঁর মেয়ের বিয়ে, আর আয়ার-গিন্নীও অনেক করে বলেছে, তাই যাচ্ছি। তোর জন্যে এই মেকানো রইল, হাওড়া ব্রিজ তৈরি করিস। সকুমার রায়ের তিনখানা বই রইল ছবি দেখিস। কিন্তু বেশী পড়িস নি, মাথা ধরবে। তোর পিসীকে বলে যাচ্ছি রাত সাড়ে আটটার দুধবার্লি দেবে। খেয়েই শুয়ে পড়বি। পিসী তোর কাছে শোবে।
—না, পিসীমাকে শুতে হবে না। তার ভীষণ নাক ডাকে, আমার ঘুম হবে না। আমি একলাই শোব।
—বেশ, তাই হবে।
ঝিণ্টুর বয়স দশ, লেখাপড়ায় মন্দ নয়, কিন্তু অত্যন্ত চঞ্চল