পাতা:নীল তারা ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১০
নীল তারা ইত্যাদি

 —তুই ছেলে মানুষ, গুছিয়ে বলতে পারবি না।

 —আচ্ছা, আমি ঢুণ্ঢুদাসকে ডাকছি। তুমি যা চাও আমাকে বলবে, আর আমি ঠিক সেই কথা তাকে বলব।

 অগত্যা সরসী রাজী হল। ঝিণ্টু চিমটে নাড়তেই আবার পিশাচ এসে বলল, কি চাই?

 ঝিণ্টু বলল, চটপট বলে ফেল পিসীমা, এখনি হয়তো বাবা মা এসে পড়বে।

 ঝিণ্টুর জবানিতে সরসী যা চাইল তার তাৎপর্য এই।—আগে ওই জানোয়ারটাকে বিদেয় করতে হবে। তার পর দুর্লভ তালুকদার নামক এক ভদ্রলোককে ধরে আনতে হবে। তিনি কানপুর উলেন মিলে চাকরি করেন। বাসার ঠিকানা জানা নেই।

 হাঁসজারু আর পিশাচ অন্তর্হিত হল।

 ঝিণ্টু বলল কানপুরের ভদ্রলোককে এনে কি হবে পিসীমা

 —তাকে আমি বিয়ে করব।

 বিয়ে করবে কি গো! তুমি তো বুড়ো ধাড়ী হয়েছ।

 —কে বলল বুড়ো ধাড়ী! আমার বয়স তো সবে পঁচিশ।

 —মা যে বলে তোমার বয়েস চৌত্রিশ-পঁয়ত্রিশ?

 —মিথ্যে কথা, তোর মা হিংসুটে তাই বলে। আর আমি তো আইবুড়ো মেয়ে, বয়েস যাই হক বিয়ে করব না কেন?

 পিশাচ ফিরে আসবার আগে একটা পূর্বকথা বলা দরকার। বারো-তেরো বছর পূর্বে সরসী যখন কলেজে পড়ত তখন দুর্লভ তালুকদারের সঙ্গে তার ভাব হয়। দুর্লভ বলেছিল, আমার