একটি ভাল চাকরি পাবার সম্ভাবনা আছে, পেলেই তোমাকে বিয়ে করব। কিছুদিন পরে দুর্লভ চাকরি পেয়ে কানপুরে গেল। সেখান থেকে মাঝে মাঝে চিঠি লিখত—বড় মাগ গি জায়গা, তোমার উপযুত বাসাও পাই নি, মাইনে মোটে দু শ টাকা, দুজনের চলবে কি করে? আশা আছে শীঘ্রই সাড়ে তিন শ টাকার গ্রেডে প্রমোশন পাব, ভাল কোয়ার্টার্স ও পাব। লক্ষ্মীটি সরসী, তত দিন ধৈর্য ধরে থাক। তার পর ক্রমশ চিঠি আসা কমতে লাগল, অবশেষে একেবারে বন্ধ হল। সরসী বুঝল যে দুর্লভ মিথ্যাবাদী, কিন্তু তবু তাকে সে ভুলতে পারে নি।
পিশাচ একটি মোটা লোককে পাঁজাকোলা করে নিয়ে এসে ধপ করে মেঝেতে ফেলে বলল, এই নাও খোকা, তোমার পিসীর বর। এখন বেহুঁশ হয়ে আছে, একটু পরেই চাঙ্গা হবে।
দুর্লভের মুখের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে ঝিণ্টু বলল, উঁঃ, মামাবাবু ক্লাব থেকে ফিরে এলে যে রকম গন্ধ বেরয় সেই রকম লাগছে। ও ঢুণ্ঢু মশাই, একে জাগিয়ে দাও না।
পিশাচ বলল, নেশায় চুর হয়ে আছে। কানপুরের একটা বস্তিতে ওর ইয়ারদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল, সেখান থেকে তুলে এনেছি। এই উঠে পড় শিগ্গির।
ঠেলা খেয়ে দুর্লভের চেতনা ফিরে এল। চোখ মেলে বলল তোমরা আবার কে?
ঝিণ্টু বলল, পিসীমা, যা বলবার তুমি একে বল।
—আমি পারব না, তুই বল খোকা।