চিমটে বাজিরে পিশাচকে ডেকে ঝিণ্টু বলল, পিসীমার আপিসে সেই যে যোগীন বাঁড়ুজ্যে কাজ করে—ঠিকানাটা কি পিসীমা? তিন নম্বর বেচু মিস্ত্রী লেন—সেইখান থেকে তাকে ধরে নিয়ে এস। আর শোন, পিসীমাকে একগাদা গয়না আর অনেক টাকা দাও।
সরসীর সর্বাঙ্গ মোটা মোটা সোনার গহনায় ভরে গেলা, পাঁচটা থলিও ঝনাত করে তার পায়ের কাছে পড়ল। পিশাচ চলে গেল।
একটা থলি খুলে সরসী বলল, সের পাঁচ-ছয় ওজন হবে।
ঝিণ্টু বলল, পাঁচ শ টাকায় সওয়া ছ সের, হাজার টাকায় সাড়ে বারো সের, লাখ টাকায় একত্রিশ মন দশ সের। ‘জ্ঞানের সিন্দুক’ বইএ আছে।
পিশাচ যোগীন বাঁড়ুজোকে পাঁজাকোলা করে এনে মেঝেতে ফেলল।
ঝিণ্টু বলল, এও নেশা করেছে নাকি?
পিশাচ বলল, নেশা নয়, অজ্ঞান করে নিয়ে এসেছি, একটু ঠেলা দিলেই চাঙ্গা হবে। থাম, আগে আমি সরে পড়ি, নয়তো আমাকে দেখে আবার ভিরমি যাবে।
ঠেলা খেয়ে যোগীন বাঁড়ুজো উঠে বসলেন। হাই তুলে তুড়ি দিয়ে বললেন, দুর্গা দুর্গা, এ আমি কোথায়? একি, মিস সরসী মুখার্জি এখানে যে! উঃ, কত গহনা পরেছেন! আপনার বিবাহের নিমন্ত্রণে এসেছি নাকি?