মুখ নীচু করে সরসী বলল, খোকা, তুই বল।
ঝিণ্টু বলল, সার, আপনি আমার এই সরসী পিসীমাকে বিয়ে করুন, ইনি আইবুড়ো মেয়ে, বয়েস সবে পঁচিশ। দেখছেন তো, কত গয়না, আবার পাঁচ থলি টাকাও আছে, এক-একটা পাঁচ-ছ সের।
যোগীনবাবু বললেন, বাঃ খোকা, তুমি নিজেই সালংকারা পিসীকে সম্প্রদান করছ নাকি? তা আমার অমত নেই, মিস মুখার্জির ওপর আমার একটু টাঁকও ছিল। তবে কিনা ইনি হলেন মডার্ন মহিলা, তাই এগুতে ভরসা পাই নি। গহনাগুলো বড্ড সেকেলে, কিন্তু বেশ ভারী মনে হচ্ছে, বেচে দিয়ে নতুন ডিজাইনের গড়ালেই চলবে। কিন্তু ব্যাপারটা যে কিছুই বুঝতে পারছি না, এখানে আমি এলুম কি করে?
সরসী বলল, সে কথা পরে শুনবেন। এখন বাড়ি যান, কাল সকালে এসে আমার দাদাকে বিবাহের প্রস্তাব জানাবেন। এই আংটিটা পরুন, তা হলে ভুলে যাবেন না।
—ভুলে যাবার জো কি। কাল সকালেই তোমার দাদাকে বলব। এখন কটা বেজেছে? বল কি, পৌনে বারো। তাই তো, বাড়ি যাব কি করে, ট্রাম বাস সব তো বন্ধ।
ঝিণ্টু বলল, কিছু ভাববেন না সার, একবারটি শুয়ে পড়ে চােখ বুজুন তো।
যোগীন বাঁড়ুজ্যে সুবোধ শিশুর ন্যার শুয়ে পড়ে চোখ বুজলেন। শিবামুখী চিমটের আওয়াজ শুনে পিশাচ আবার