পাতা:নীল তারা ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শিবামুখী চিমটে
১১৫

এল। ঝিণ্টু তাকে ইশারায় আজ্ঞা দিল!—এঁকে নিজের বাড়িতে পৌঁছে দাও।

 বারোটা বাজল। সরসী বলল, দাদা বউদি এখনই এসে পড়বে। যাই, গহনাগুলো খুলে ফেলি গে, টাকার থলিগালোও তুলে রাখতে হবে। তোর মোটে বুদ্ধি নেই, টাকা না চেয়ে নোট চাইলি না কেন? ঝিণ্টু বাবা আমার, কোনও কথা কাকেও বলিস নি।

 —না না, বলব কেন। এই যা, ঢুণ্ঢুদাসের কাছে একটা বেঁজি চেয়ে নিতে ভুলে গেছি। ইস্কুলের দারোয়ান রামভজনের কেমন চমৎকার একটি আছে, খুব পোষা, কাঁধের ওপর নেপটে থাকে।

 —ভাবিসনি খোকা, যত বেঁজি চাস তোর পিসেমশাই তোকে কিনে দেবে। তুই আর জ্বর গায়ে জাগিস নি, শুয়ে পড়।

 —কোথায় জ্বর! সে তো ঢুণ্ঢুন্দাসকে দেখেই সেরে গেছে।

 —হ্যাঁরে খোকা, আমরা স্বপ্ন দেখছি না তো? সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি দেখি গহনা আর টাকা সব উড়ে গেছে?

 গেলই বা উড়ে। যোগীনবাবু আবার গড়িয়ে দেবে, টাকাও দেবে।

 —যোগনিবাবুও যদি উড়ে যায়?

 —যাক গে উড়ে। তুমি এই মটরভাজা একটু খেয়ে দেখ না, কেমন কুড়কুড়ে। বেশ করে চিবিয়ে গিলে ফেল, তা হলে কিছুতেই উড়ে যেতে পারবে না।

১৩৬২