—সত্যি বা মনগড়া যাই হক, তোমার রাগ হয় না?
—ও সব আমি গ্রাহ্য করি না।
—এ তোমার ভারী অন্যায়, এর পর পস্তাতে হবে। আর দেরি নয়, এখন থেকে স্টেপ নাও।
—কি করতে বল তুমি?
—একটা মনগড়া পুরুষের উদ্দেশে তুমিও কবিতা লিখতে শুরু কর।
—রাম বল। কবিতা লেখা আমার আসে না, আর লিখলেই বা ছাপবে কে?
—সে তুমি ভেবো না। ‘নিসান্দিনী’ পত্রিকা দেখেছ তো? তার সম্পাদক তরণী সেন আমার দেওর রমেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তোমার লেখা ছাপাবার ব্যবস্থা আমি করে দেব। আর, কবিতা লেখা খুব সোজা, দেদার চুরি করবে, ওখান থেকে এক লাইন এখান থেকে এক লাইন নেবে, তার সঙ্গে নিজের কিছু জুড়ে দেবে। এখন গদ্য কবিতার যুগে, মিলের ঝঞ্চাট নেই, যা খুশি এলোমেলো করে সাজিয়ে দিলেই গদ্য কবিতা হয়ে যায়।
বিশাখার জেদের ফলে শংকরী রাজী হল। দুজনে মিলে একটা কবিতা খাড়া করল, বিশাখার দেওয় রমেশ সেটা তরণী সেনের কাছে নিয়ে গেল।
তরণী বলল, আরে ছ্যা, একে কি কবিতা বলে! ‘ওগো আমার বঁধু, তুমি ডুমুর ফলের মধু!’ এ রকম সেকেলে কাঁচা লেখা ছাপলে আমার পত্রিকা কেউ পড়বে না।