কিছুতেই বশে এলেন না। আমার রাগ হল, বললুম, আমাকে অবলা ললনা ঠাউরেছ, নয়? দেখ আমার বল।
মুদ্গলের দুই কাঁধে হাত দিয়ে চেপে বললাম, লাগছে?
—ছাড় ছাড়।
—এই এক মন চাপ দিলুম, লাগছে?
—উঃ, ছাড় ছাড়।
—এই দু মন চাপ দিলুম, বিয়ে করতে রাজী আছ?
—মুদ্গল যন্ত্রণায় চেঁচিয়ে উঠলেন, মাধ্বীক যা খেয়েছিলেন মুখ দিয়ে সব হড়হড় করে বেরিয়ে গেল। আমি বললুম, এই তিন মন চাপ দিলুম, আর একটু দিলেই তোমার মেরুদণ্ড মচকে ভেঙে যাবে। বল, প্রাণেশ্বর হতে রাজী আছ?
আর্তনাদ করে মুদ্গল বললেন, আছি আছি।
—আকাশে দিবাকর, আমার চতুর্দিকে এই চেড়ীবৃন্দ, আর সম্মুখে ওই উচ্ছিষ্টলোভী কুকুর, সবাই সাক্ষী রইল, আবার বল, রাজী আছ?
—ওরে বাপ রে! আছি আছি। রাক্ষসী, তুমিই আমার প্রাণেশ্বরী।
তখন হাত তুলে নিয়ে আমি বললুম, আজই রাত্রির প্রথম লগ্নে বিবাহ।
কাতর হয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে মুদ্গল বললেন, প্রিয়ে, একটি দিন অপেক্ষা কর, আমার গায়ের ব্যথা মরুক, পিঠ সোজা হক। কাল আমার গুরুদেব মহর্ষি কুলত্থ আসবেন, তাঁর অনুমতি আর