চাইলে কুমার ভড়কে যেতে পারেন। তা ছাড়া আমাদের এদেশে আসার খরচ আর পারিশ্রমিকও তাঁকে দিতে হবে। ব্যাংক অভ বেঙ্গলে সাবিত্রীর অ্যাকাউণ্ট আছে, কুমার সেখানে চার লাখ জমা দিলেই তাঁকে নীল তারা সমর্পণ করব। আজ সন্ধ্যায় তিনি আমার সঙ্গে দেখা করবেন।
—সাবিত্রীর ঠিকানা কি?
—তিন নম্বর কর্নওআলিস থার্ড লেন। মুস্তৌফী, আজই বিকালে তাঁর কাছে যেও। আশা করি তোমার কুসংস্কার নেই, বিধবা হলেও বাগ্দত্তা পাত্রীকে বিবাহ করতে রাজী আছ?.. তবে আর ভাবনা কি, go, woo and win her। কাল সকালে হোটেলে আমার সঙ্গে দেখা ক’রো। গুড বাই।
ওআটসন বললেন, এক্সিকিউজ মি মুস্তৌফী বাবু দাড়িটা কামিয়ে ফেলো। গুড বাই।
রাখাল বিকালে চারটের সময় সাবিত্রীর কাছে গিয়ে রাত সাড়ে আটটায় ফিরে এল। তার ছাত্র নারান বারান্দায় বসে ছিল। রাখাল বলল, কে ও নারান নাকি? হ্যারিকেনটা উসকে দে।
আলো বাড়িয়ে দিয়ে নারান বলল, একি মাষ্টার মশায়, আপনাকে যে চেনাই যায় না।
—দাড়িটা কামিয়ে ফেলেছি। এত রাত্রে তুই যে এখানে?