পাতা:নীল তারা ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
নীল তারা ইত্যাদি

ছিলেন। তার জন্যে তো আপনাকে রাক্কুসী কি মেছোপেতনী বলছি না।

 গোপালবাবু বললেন, আঃ ঝগড়া কর কেন। নমিতা, সিধুকে বলতে দাও তোমার মন্তব্য শেষে ক’রো।


সিদ্ধিনাথ বলতে লাগলেন।—ব্যাপারটা ঘটেছিল আমার বিবাহের আগে, গিন্নী থাকতে প্রেম হবার জো কি। তখন বয়স বাইশ-তেইশ, পোস্টগ্রাজুয়েটে পড়ি, বাবা মা দুজনেই বর্তমান। ওহে রমেশ ভাক্তার, তোমাদের শাস্ত্রে এই কথা বলে তো—কোনও দেশে একটা নতুন ব্যাধি যদি আসে তবে প্রথম প্রথম তা মারাত্মক হয়, কিন্তু দু-এক শ বছর পরে তার প্রকোপ অনেক কমে যায়?

 রমেশ বলল, আজ্ঞে হাঁ, কোনও কোনও রোগের বেলা তাই হয় বটে।

 —প্রেমও সেই রকম ব্যাধি। এর তিন দশা আছে। প্রাইমারি স্টেজে প্রেম হল নাইণ্টি পারসেণ্ট লালসা, টেন পারসেণ্ট ভালবাসা। সেকণ্ডারি স্টেজে হাফ অ্যাণ্ড হাফ; টারশারিতে প্রায় সবটাই ভালবাসা, নামমাত্র লালসা। পুরাকালে পূর্বরাগ অর্থাৎ প্রেমের প্রথম আক্রমণ অতি সাংঘাতিক হত। কাদম্বরীতে বাণভট্ট লিখেছেন—মহাশ্বেতার প্রেমে পড়ে পুণ্ডরীক হার্ট ফেল করে মারা যায়। আরব্য উপন্যাসের অনেক নায়ক নায়িকা প্রেমে শয্যাশায়ী হত। অমন যে জবরদন্ত রাজর্ষি আরংজেব বাদশা,