পাতা:নীল তারা ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জটাধরের বিপদ
৪৫

দেখা করেছেন?

 —তা আর আপনাকে বলতে হবে না, তার কাছ থেকেই তো আসছি। আমাকে দেখে মাগী বেদম কান্না শুরু করেছে। আমি ধমক দিতে বলল, জটাইবাবুকে ডেকে আন, তাঁর অমতে কিছু করতে পারব না। ওঃ, জটাই যেন তাঁর গুরুঠাকুর!

 রামতারণ বললেন, ব্যাপারটা বিশ্রী রকম জটিল হল দেখছি। অচলা যদি জটাধরের কাছেই থাকতে চায় আর বলহরি তাতে রাজী না হয় তবে তো মহা ফ্যাসাদ, আদালতের ব্যাপার। কিন্তু বেআইনী কাজ তো কিছুই হয় নি। নষ্টে মৃতে প্রবজিতে—একটা শাস্ত্রবচন আছে না? বারো বছর কেটে গেলে রীতিমত শ্রাদ্ধশান্তির পরে অচলার পুনর্বিবাহ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভূতপূর্ব স্বামীর ফিরে আসাই অন্যায়।

 কপিল গুপ্ত বললেন, এনক আর্ডোনের মতন মানে মানে সরে পড়াই উচিত ছিল।

 বলহরি বলল, আহা কি কথাই বললেন মশাই, প্রাণ জুড়িয়ে গল। নিজের স্ত্রীর কাছে আসব না তো এই জটেকে দেখে জিব কেটে পালাব নাকি?

 জটাধর বললেন, আমি এই বলহরি জোয়ারদার মশাইকে খসারত হিসেবে কিছু টাকা দিতে রাজী আছি। এখন পঞ্চাশ দিতে পারি, বাসায় গিয়ে আরও পঞ্চাশ—

 বলহার গর্জন করে বলল, চোপ রও শুয়ার, একশ টাকায় আমার বউ কিনতে চাও? একটা পাঁঠীও ও দামে মেলে না।