কপিল গুপ্ত বললেন, ওহে জোয়ারদার, একটু বুঝে সুঝে তম্বি ক’রো। তুমি তো তালপাতার সেপাই, জটাধরের চেহারাটি দেখছ তো? এক চড়েই তোমাকে সাবাড় করতে পারে।
—এঁঃ, চড় মারলেই হল। দেখছেন না, ব্যাটা ভয়ে কেঁচো হয়ে আছে। পাঁচটি বচ্ছর মাঞ্চুরিয়ার জাপানীদের কাছে ছিলাম মশাই, জুজুৎসুর পাঁচ ভাল করেই শিখেছি। তার পর চীনেদের সঙ্গে সাত বছর কাটিয়েছি। ছাড়তে কি চায়? তিনটে কমরেডের গলা টিপে মেরে পালিয়ে এসেছি। জটাধরকে দুটি আঙুলের টোকায় কাত করতে পারি। চল্ হতভাগা।
কাঁচপোকা যেমন প্রকাণ্ড আরশোলাকে ধরে নিয়ে যায় তেমনি বলহরি জোয়ারদার জটাধরের হাত ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে চলে গেল।
রামতারণ মুখুজ্যে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বললেন, এমন বিপদেও মানুষে পড়ে। আহা বেচারা আজ দুপুরে বিয়ে করেছে আর সন্ধ্যাবেলায় এই বিশ্রী কাণ্ড। অচলা মেয়েটার জন্যে সত্যি দুঃখ হচ্ছে।
ম্যানেজার কালীবাবু নিবিষ্ট হয়ে হিসাব করছিলেন। এখন উচ্চস্বরে বললেন, চুলোয় থাক অচলা, আজকের খরচা দেবে কে জটাধর তো আপনাদের বোকা বানিয়ে সরে পড়ল।
কপিল গুপ্ত বললেন, সরে পড়েছে তাতে হয়েছে কি আমরা তো নিজের নিজের খরচে খেতে প্রস্তুতই ছিলুম। কালী বাবু তুমি আমাদের নামে নামে বিল তৈরি কর।