তিরি চৌধুরী
করুণাময় দত্তগুপ্ত কৃতী পুরুষ, মুনসেফ থেকে ক্রমে ক্রমে জেলা জজ তার পর হাইকোর্টের জজ হয়েছেন। ইস্টারের বন্ধ, সকাল বেলা বাড়িতে খাস কামরায় বসে তিনি চা খাচ্ছেন আর খবরের কাগজ পড়ছেন এমন সময় একটি মেয়ে এসে তাঁকে প্রণাম করল।
ষোল-সতরো বছরের সুশ্রী মেয়ে, পরিপাটী সাজ। জস্টিস দত্তগুপ্ত তার দিকে তাকাতে সে বলল, আমার ঠাকুদ্দাকে আপনি চেনেন, সলিসিটার্স চৌধুরী অ্যাণ্ড সন্সের প্রিয়নাথ চৌধুরী। আমার নাম তিরি।
করুণাময় বললেন, ও, তুমি প্রিয়নাথবাবুর নাতনী, আমাদের সোমনাথের মেয়ে? ব’স ওই চেয়ারটায়। তা, তোমার নাম তিরি হল কেন?
—কি জানেন, আমার মামা অঙ্কের প্রোফেসার, আর আমি হচ্ছি তৃতীয় সন্তান, তাই মামা আমার নাম রেখেছিলেন তৃতীরা। নামটা কটমটে, আমি ছেঁটে দিয়ে তিরি করেছি।
—তা বেশ করেছ। এখন কি চাই বল তো?
-আজ্ঞে, আমার ঠাকুমা বড় দুর্ভাবনায় পড়েছেন, একবারে মুষড়ে গেছেন, ভাল করে খাচ্ছেন না, ঘুমুতে পারছেন না। দয়া