পাতা:নীল তারা ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
নীল তারা ইত্যাদি

কুমারী হয়েই রইলেন, খুব লেখাপড়া শিখলেন, অনেক জায়গার মাষ্টারি করলেন, আমেরিকায় গিয়ে ডক্টর অভ এডুকেশন ডিগ্রী নিয়ে এলেন, শেষকালে পাতিয়ালা উইমিন্‌স কলেজের প্রিন সিপালও হয়েছিলেন। সম্প্রতি রিটায়ার করে কলকাতায় এসেছেন। তার পর হঠাৎ একদিন সলিসিটার চৌধুরী অ্যাণ্ড সন্‌সের আফিসে উপস্থিত। কি সমাচার? না, আলিপুরে একটা ছোট বাড়ি কিনবেন, তারই দলিল আমার ঠাকুদ্দাকে দেখাতে চান। ঠাকুদ্দা তাঁর পরিচয় পেয়ে খুব খুশী—বুঝতেই পারছেন, পুরাতনী শিখা, ওল্ড ফ্লেম। তার পর প্রভাবতী আমাদের বাড়িতে ঘন ঘন আসতে লাগলেন, আর ঠাকুমা ফোঁস করে জ্বলে উঠলেন, কলেরাপটাশ আর চিনিতে অ্যাসিড ঠেকালে যেমন হয়।

 —সে আবার কি রকম? তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠাই তো শুনেছি।

 —তার চাইতে ভীষণ। জানেন না সার? আমার মেজদা একদিন দেখিয়েছিল। কলেজ থেকে কলেরাপটাশ চুরি করে এনে তার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ন্যাকড়ার পুঁটলিতে বেঁধে তাতে কি একটা আসিড ঠেকাল, অমন ফোঁস করে জ্বলে উঠল।

 —প্রভাবতী দেখতে কেমন?

 —এখনও খুব রূপ।

 কনকলতা চেঁচিয়ে বললেন, শাঁকচুন্নী বাবা, একবারে শাঁকচুন্নী।

 করুণাময় হেসে বললেন, তবে আপনার ভাবনা কিসের?