করে পায়ের ধূলো নিল।
গৌরগোপাল বললেন, তুমি কে দিদি? চিনতে পারছি না তো।
—আজ্ঞে, আমার নাম তিরি।
—তিরি কেন? টেক্কা কি বিবি হলেই তো মানাত।
—আমি মা-বাপের তৃতীয় সন্তান কিনা, তাই তিরি নাম। আমার ঠাকুদ্দার নাম শুনেছেন বোধ হয়—সলিসিটার প্রিয়নাথ চৌধুরী, আপনারই সমবয়সী হবেন।
—ও, তুমি প্রিয়নাথ চৌধুরীর নাতনী? তাঁর সঙ্গে মৌখিক আলাপ নেই, তবে বছর চার আগে একটা মকদ্দমায় তিনি আমার বিপক্ষের অ্যাটর্নি ছিলেন। খুব ঝানু লোক।
—সে মকম্পমার আপনি জিতেছিলেন?
—না দিদি, হেরে গিয়েছিলুম, লাখ দুই টাকা লোকসান হয়েছিল।
—তবেই তো মুশকিল। হেরে গিয়েছিলেন তার জন্যে প্রিয়নাথ চৌধরীর নাতনীর ওপর তো আপনার রাগ হবার কথা।
—আরে না না, তোমার ওপর রাগ করে কার সাধ্য! এখন বল তো, কি দরকার।
তিরি মাথা নীচু করে হাত কচলাতে কচলাতে বলল, দেখুন, আপনার সঙ্গে আমার একটা নিগূঢ় সম্পর্ক আছে, আপনি হচ্ছেন আমার হতে-হতে-ফসকে-যাওয়া ঠাকুদ্দা।
গৌরগোপাল বললেন, বুঝতে পারলুম না দিদি, খোলসা