পাতা:নীল তারা ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তিরি চৌধুরী
৬১

তো বাড়িতেই আছেন, তার বিকল্পিত ঠাকুদ্দা শ্রদ্ধেয় অল্ডারম্যান গৌরগোপালবাবু আর বিকল্পিতা ঠাকুমা শ্রদ্ধেয়া ডক্টর প্রভাবতী ঘোষও দয়া করে এখানে এসেছেন। প্রিয়জনের এই সমাগমে তিরি যেমন ধন্য হয়েছে আমরাও তেমনি আনন্দলাভ করেছি।

 কনকলতা তিরিকে জনান্তিকে বললেন, ওই বুড়ো আর বুড়ীটাকে এখানে কে আনলে রে?

 তিরি বলল, গৌরগোপাল আর প্রভাবতী? আমি তো জানিনা, জস্টিস দত্তগুপ্ত হয়তো বাবাকে বলে থাকবেন। ঠাকুমা, তোমার ওই ফসকে-যাওয়া বর গৌরগোপালবাবু কি সুন্দর দেখতে। আহা, ওঁর সঙ্গে তোমার যদি বিয়ে হত তা হলে বাবার রং আরও ফরস। হত, আর আমারও রূপ উথলে উঠত, একবারে ঢলঢল কাঁচা অঙ্গেরি লাবনি!

 কনকলতা বললেন দূর হ মুখপড়ী, তোর মুখের বাঁধন কি একটুও নেই?

 —কিন্তু ভাগ্যিস প্রভাবতীর সঙ্গে ঠাকুদ্দার বিয়ে হয় নি, তা হলে আমার মুখটা চীনে প্যাটার্ন হত। ঠাকুমা, তোমারই জিত। পঞ্চান্ন বছর আগে ওই প্রভাবতীর একটা বর হাতছাড়া হয়েছিল, কিন্তু এত পাস করেও উনি এ পর্যন্ত আর একটা বর জোটাতে পারলেন না, অথচ তুমি একমাসের মধ্যেই জুটিরেছিলে, যদিও বিদ্যে বোধোদয় পর্যন্ত। তুমি কিন্তু ওই গৌরগোপালবাবুর দিকে অমন করে আড়চোখে তাকিও না বাপু ঠাকুদ্দা মনে