করবেন কি?
কনকলতা রেগে গিয়ে চেঁচিয়ে বললেন, কই আবার তাকাচ্চি? কি বজ্জাত মেয়ে তুই! ও মাস্টার-দিদি প্রভা, এই তিরিটাকেে বেত মেরে সিধে করতে পার না? জ্বালিয়ে মারল আমাকে।
প্রভাবতী বললেন, তিরি, ঠাকুমাকে জ্বালিও না, এস আমার কাছে।
প্রভাবতী আর গৌরগোপাল পাশাপাশি বসে ছিলেন। চেয়ার টেনে নিয়ে তাঁদের কাছে বসে পড়ে তিরি বলল, জ্বালাবার দরকার হবে না, ঠাকুমা ঠাণ্ডা হয়ে গেছেন। কিন্তু আসল কাজ যে এখনও বাকী রয়েছে। আপনারা কিছু মনে করবেন না, আমি একটু স্বগতোক্তি করছি, যাকে বলে সলিলোকি। প্রিয়নাথের সঙ্গে প্রভারতীয় বিয়ে হতে হতে হল না। আচ্ছা, তা না হয় না হল। গৌরগোপালের সঙ্গেও কনকলতার বিয়ে হতে হতে হল না। তাও না হয় না হল। কিন্তু প্রজাপতির নির্বন্ধে শেষটায় প্রিয়নাথের সঙ্গে কনকলতার বিয়ে হয়ে গেল। এই পরিস্থিতিতে চিরকুমারী প্রভাবতী আর নবকুমার গৌরগোপালের কি করা উচিত? বিধাতার ইঙ্গিত কি?
প্রভাবতী বললেন, বিধাতার ইঙ্গিত—তোমাকে আচ্ছা করে বেত লাগানো দরকার।
গৌরগোপাল বললেন, আমার বাড়িতে পালিয়ে চল দিদি, কেউ বেত লাগাবে না।
তিরি বলল, হায় হায়, দেওয়ালের লেখা আপনাদের নজরে