নীলকণ্ঠবাবু আমাকে ফেরাবার জন্যে চিৎকার করতে লাগলেন কিন্তু আমি আর দাঁড়ালাম না।
পরদিন ঘুম থেকে উঠেই মনে হল, আহা, পাগল লোকটিকে
একলা ফেলে এসেছি, আজ একবার খোঁজ নেওয়া উচিত। ডাক্তার বঙ্কিম পালকে চিনি, বেলা নটার সময় তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হলাম।
নীলকণ্ঠবাবু নীচের বারান্দায় বসে সিগারেট টানছেন। আমাকে দেখে উৎফুল্ল হয়ে বললেন, আসুন আসুন সুশীলবাবু। দেখুন, জগতে আপনিই একমাত্র খাঁটী মানুষ, আমার বন্ধু বঙ্কিম ডাক্তারও ভেজাল চালিয়েছে, হাইড্রোসায়ানিকের বদলে বাদামের শরবত খাইয়েছে। নেহাত বন্ধু লোক, নইলে পুলিসে খবর দিতাম।
আমি বললাম, বঙ্কিম ডাক্তার খুব ভাল কাজ করেছেন, তিনি আপনার হিতাকাঙ্ক্ষী বন্ধু তাই আপনার বেয়াড়া অনুরোধ রাখেন নি।
এই সময় একটি লোক এসে বলল, নীলকণ্ঠ তবলাদার এখানে থাকতেন?
নীলকণ্ঠ বললেন, আপনি কে মশায়?
—আমি সম্পর্কে নীলকণ্ঠর মামা হই, ভজু-মামা, চালতাডাঙার হেবো আমাকে পাঠিয়েছে।
নীলকণ্ঠ ভয় পেয়ে চুপি চুপি আমাকে বললেন, আপনিই