এমন সময় তার কানে এল—নমস্কার, দয়া করে, ভিতরে আসবেন কি?
বেতসী মাথা নামিয়ে দেখল, একজন সুদর্শন যুবা বেড়ার ফটক খুলে দাঁড়িয়ে আছে। পরনে পায়জামা আর পঞ্জাবি, হাতে একটা মোটা লাঠি। প্রতিনমস্কার করে বেতসী বলল, আপনিই জয়হরিবাবু? আমার কুকুর নিয়ে ভিতরে যেতে পারি কি?...... থ্যাংক্স।
বেড়ার ভিতরের মাঠে এসে বেতসী বলল, অদ্ভুত সর জানোয়ার বানিয়েছেন। এর উদ্দেশ্য কিছু আছে না শুধুই ছেলেখেলা?
জয়হরি সহাস্যে বলল, আর্ট মাত্রই ছেলেখেলা। আমি এক নতুন রকমের আর্টের চর্চা করছি। লোকে কাগজ আর ক্যামবিসের উপর আঁকে, কাদা পাথর ধাতুর মূর্তি গড়ে। আমি তা না করে জীবন্ত প্রাণীর উপর রং লাগাচ্ছি। আমার মিডিয়ম আর টেকনিক একবারে নতুন।
—নীল ভেড়া, সবুজ বেরাল, ছাগলের গায়ে বাঘের ছাল, একে আর্ট বলতে চান নাকি?
—আজ্ঞে হাঁ। প্রকৃতির অন্ধ অনুকরণ হল নিকৃষ্ট আর্ট। যা আছে তার বৈচিত্র্য সাধন এবং তাকে আরও মনোরম করাই আর্ট। সুকুমার রায় লিখেছেন—লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ। কথাটা ঠাট্টা হলেও আর্টের মূল সূত্র এতেই আছে।
—আমি তা মনে করি না। শুনেছি আপনি সুতো আর