পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নূতনের সন্ধান

যুব-আন্দোলন আমাদের রাজনৈতিক উন্নতিতেও উৎসাহদান করিবে।

 যুব-আন্দোলন বর্ত্তমানের প্রতি আমাদের অসন্তোষের প্রতীক। যুগ-সঞ্চিত বন্ধন, স্বেচ্ছাচারিতা ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ইহা একটী বিশিষ্ট রূপ। সকল শৃঙ্খল মোচন করিয়া মানবের অফুরন্ত সৃজনীশক্তি-প্রকাশের ক্ষেত্র উন্মুক্ত করিয়া দিয়া আমাদের ও মানবজাতির জন্য নূতনতর জগতের প্রতিষ্ঠাই ইহার লক্ষ্য। যুব-আন্দোলন তাই বর্ত্তমান আন্দোলনসমূহের উপরে ন্যস্ত একটা অতিরিক্ত বা বিদেশ হইতে আমদানী করা কর্ম্মধারা নয়—ইহা সত্যকার একটা স্বতন্ত্র আন্দোলন এবং ইহার মূল উৎস মানবস্বভাবের গভীরতম অন্তঃস্থল।

 বর্ত্তমান যুগের একটী বিশিষ্ট অভাব ও মানুষের প্রাণের উদগ্র বাসনাকে পূর্ণ করিবার জন্যই ইহার আবির্ভাব। ইহার গূঢ় অর্থ ও উদ্দেশ্য বুঝিতে না পারিলে কেবল মাত্র আন্দোলনে যোগদান করিলে বা যুবসংঘে প্রাধান্য স্থাপন করিলে কোন ফললাভ হইবে না। আমার মনে হয়, যুব-আন্দোলনের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যটী না থাকিলে কেবলমাত্র তরুণ-তরুণীর সংঘ হইলেই কোন প্রতিষ্ঠান যুব-সংঘ পদবাচ্য হইতে পারেনা। আমি পূর্ব্বেই বলিয়াছি, একটা চঞ্চলতা ও বর্ত্তমান অবস্থার প্রতি অসন্তোষ এবং নব-সমাজ স্থাপনার প্রচেষ্টা এই আন্দোলনের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য। সকল প্রকার বন্ধন মুক্তি এবং

১৪২