পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ছাত্র আন্দোলন

রাজনীতির অনুশীলন ছাড়া অপর কোনও কর্ত্তব্য নাই। পরাধীন দেশে যে কোন সমস্যার সমাধান করিতে গেলেই দেখা যাইবে তাহার মূলে রহিয়াছে রাজনীতি। দেশবন্ধু বলিতেন, জীবন একটা অখণ্ড সমগ্র সত্তা—কাজেই রাজনীতি ও অর্থনীতির মধ্যে বা এই উভয়ের ও শিক্ষানীতির মধ্যে একটা ভেদরেখা টানা সম্ভব নহে। মানুষের জীবনকে খণ্ড খণ্ড করিয়া দেখা যায় না। জাতির জীবনের প্রত্যেকটা প্রকাশ পরস্পর সম্বন্ধ এবং প্রত্যেক সমস্যাই পরস্পর গ্রথিত। ইহা যদি সত্য হয়, তবে স্পষ্টই বুঝা যাইবে যে, পরাধীন জাতির সকল অন্যায়, সকল ত্রুটিবিচ্যুতির কারণ একটী মাত্র— রাজনৈতিক দাসত্ব। সুতরাং, যে সমস্যার প্রতি ছাত্রেরা কোন ক্রমেই উদাসীন হইতে পারে না, তাহা হইতেছে এই—কেমন করিয়া রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা অর্জ্জন করা যাইতে পারে তাহার উপায় উদ্ভাবন।

 সকল রকমের জাতীয় কর্ম্মের প্রতি নিযেধাজ্ঞা জারী না করিয়া বিশেষভাবে রাজনীতির অনুশীলনকে কেন নিষেধ করা হয়, তাহা আমি বুঝিতে পারি না। জাতীয় কর্ম্মমাত্রের উপরেই নিষেধাজ্ঞার অর্থ বুঝা যায়, কিন্তু কেবল রাজনীতির সম্বন্ধে নিষেধাজ্ঞার কোনও অর্থই হয় না। পরাধীন দেশের সকল সমস্যাই যদি মূলতঃ রাজনৈতিক হয়, তবে জাতীয় কাজমাত্রেই রাজনৈতিক কাজ। কোনও স্বাধীন দেশেই রাজনীতিতে যোগদান করা নিষিদ্ধ নয়—বরং,

৪১