পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নূতনের সন্ধান

আমরা দেখিতে পাইব যে, এই স্বাধীনতার নীতি মোটের উপর সামাজিক বিপ্লব ছাড়া আর কিছুই নহে।

 সমগ্র সমাজের জন্য স্বাধীনতা বলিতে নারী ও পুরুষ—এই উভয়েরই স্বাধীনতা বুঝিতে হইবে। ইহাতে বুঝিতে হইবে— কেবল উচ্চ শ্রেণী নয়, অনুন্নত শ্রেণীকেও স্বাধীনতা দিতে হইবে। ধনী-দরিদ্র, যুবা-বৃদ্ধ, সকল সম্প্রদায়, সংখ্যায় লঘিষ্ঠ এবং সংখ্যায় গরিষ্ঠ সমাজ এবং সকল শ্রেণী ও সকল ব্যক্তিকেই স্বাধীনতা দিতে হইবে। এই দিক হইতে বিচার করিলে মনে হয়, স্বাধীনতা মানেই সাম্য এবং সাম্য মানেই ভ্রাতৃত্ব।

 সমাজকে বন্ধন-মুক্ত করিতে হইলে সামাজিক ব্যাপারে এবং আইনসঙ্গত বিষয়ে মহিলাদিগকে সমান অধিকার দিতে হইবে। যে সামাজিক বিধান দ্বারা, নিম্নবংশে জন্ম গ্রহণের জন্য, কোন কোন ব্যক্তি ও শ্রেণীকে ছোট করিয়া রাখা হইয়াছে সেই বিধান নির্ম্মমভাবে বিনষ্ট করিতে হইবে। ধনী ও দরিদ্রের পদমর্য্যাদার মধ্যে যে প্রভেদ তাহা দূর করিতে হইবে। যে সমস্ত প্রতিবন্ধক সামাজিক উন্নতির পথে বিঘ্ন উৎপাদন করে তৎসমস্তই বর্জ্জন করিতে হইবে। প্রত্যেককেই শিক্ষা ও আত্ম-বিকাশের জন্য সমান সুযোগ দিতে হইবে। যুবককে যুবক বলিয়া উপেক্ষা করিলে চলিবে না। সমাজ-সংস্কার এবং দেশ শাসনের ভার যুবক ও যুবতীদের উপরই ন্যস্ত করিতে হইবে। সমাজে, রাজনীতি-

৬৮