পাতা:নূতন গিন্নী - জলধর সেন.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१ নূতন শিল্পী দেখিতে দেখিতে সে দিন আসিয়া উপস্থিত হইল। তখন তাহারা দরিদ্রের সম্বল যাহা কিছু ছিল লইয়া ধীরে ধীরে তাহদের সেই শান্তশীতল সুখ-নিকেতন হইতে চিরদিনের মত বিদায় লইবার জন্য একবার সেই প্রাচীন, ঋষিতুল্য শালবৃক্ষের ছায়ায় দাড়াইয়া, বাল্য, কৈশোর, BDDB DBDBB BuuB BDDDB BB DBDDDBS S DD DSS DBDB রাত্রি শেষ হইয়া আসিয়াছে। প্ৰভাতের শীতল বায়ু বৃক্ষপত্ৰ কঁপাইয়া জগতের সুপ্ত শান্তিকে ধীর আহবানে জাগরিত করিতেছিল । তাহার স্বামীস্ত্রেীতে বহুক্ষণ নীরবে দাড়াইয়া বিদায় গ্ৰহণ করিবার চেষ্টা করিল ; কিন্তু সেই জীর্ণ কুটীরখানির প্রতি পর্ণ, প্রতি বন্ধন, প্রতি ক্ষুদ্ৰ কাষ্ঠখণ্ড ধৈন তাহাদিগকে শত হস্ত প্রসারিত করিয়া স্নেহালিঙ্গনে বঁাধিয়া রাখিতে চাহিল। মতিয়া ও ভৈরী এই নির্বাসন যাত্রায় যেন অমঙ্গল সুচনা দিব্যচক্ষে দেখিতে পাইল। তাহদের স্বহস্তে-রোপিত বৃক্ষশিশুগণ যেন ক্ষুদ্র পল্লবহন্ত কম্পিত করিয়া তাহাদিগকে ফিরাইয়া আনিবার চেষ্টা করিল ; প্রাঙ্গণের বৃক্ষশাখায় বসিয়া পাখীরাও যেন তাহদের বিদায়ে অমঙ্গল সুচনা করিল ; কিন্তু জঠর-যন্ত্রণায় কাতর মতিয়া স্ত্রীর হাত ধরিয়া অগ্রসর হইল—একটী দীর্ঘনিঃশ্বাসে শত বন্ধন ছিন্ন করিয়া নিশীথে দুঃস্বপ্নবিহবল জাগরণের ন্যায় কৈশোরের আশাকানত্ব যৌবনের স্বপ্নশষ্যা -পশ্চাতে ফেলিয়া বঁকুড়ার রাজপথে উপস্থিত হইল। মতিয়া দু একবার রাণীগঞ্জে গিয়াছিল। রাণীগঞ্জের কয়লার খনিতে" শত শত নরনারীকে কাজ করিতে দেখিয়াছিল,—তাই তাহার মনে হইয়াছিল বুঝি রাণীগঞ্জে গেলেই যে প্রকারে হউক তাহদের গ্ৰাসাচ্ছাদনের ভাবনা থাকিবে না। এই আশায় বুক বাধিয়াই দুইজনে রাণীগঞ্জের পথ ধূরিল। : . মতিয়া ও ভৈরী উভয়ের শরীরই বলিষ্ঠ । পথ চলিতে তাহারা