পাতা:নূতন গিন্নী - জলধর সেন.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নূতন ोि তাহা প্ৰতিপাদনা করিবার জন্য ব্যস্ত হইলেন। এত ধনদৌলত কে ‘ ভোগ করিবে-মধু ভট চাজের নাম যে একেবারে লোপ হইৰে, তাহা র্তাহাদের নিতান্ত অসহ বোধ হইল। মধু ভট চাজি গ্রামের দশজনের একজন ছিলেন; তাহার উপযুক্ত পুত্ৰ যদু ভটী চাজ যে বুদ্ধির দোষে বাপ পিতামহের নাম ডুবাইবে, ইহা শুভানুধ্যায়ী মহাশয়গণের নিকট কিছুতেই কৰ্ত্তব্য বোধ হইল না । কিন্তু যদুবাবু এ সকল অকাটা যুক্তির কোনই প্ৰতিবাদ করিলেন না ; সকলই শুনিতে লাগিলেন । শুভানুধ্যায়ীরা দেখিলেন এ পশ্চিম-ফেরত লড়াইয়ে ব্ৰাহ্মণকে সুপরামর্শ দুন বৃথা।। সুতরাং ক্রমে তাহারা রণে ভঙ্গ দিতে লাগিলেন। যদুবাবুও এই সকল উপদৃেশের হস্ত হইতে পরিত্ৰাণ লাভ করিলেন । বাড়ীর আবশ্যক সংস্কার-কাৰ্য্য শেষ হইলে যদু ভটচাজ পুরোঠি", ঠাকুরকে ডাকিয়া দেবালয়ের ভিত্তি-স্থাপনের একটা শুভদিন দেখিতে বলিলেন ; ঠাকুর দিন স্থির করিয়া দিলেন। যথাসময়ে দেবালয়ের DD uBBB BBBDSDBDDB DB D DD DDBDB BDDDD DDD DDBB একটি অনতিবৃহৎ মন্দির প্রস্তুত হইল ; ভোগশালা, অতিথিশালা নিৰ্ম্মিত হইল, সুন্দর সরোবর খনিত হইল, উদ্যানে পুষ্পবৃক্ষ রোপিত হুটুল। তাহার পর একদিন মহাসমারোহে দেবালয় প্রতিষ্ঠা হইল , গৃহদেবতা নারায়ণশিলা এই নবনিৰ্ম্মিত দেবালয়ে আসন গ্ৰহণ করিলেন —আর শুভ্ৰ-বস্ত্র-পরিহিতা চতুর্দশবর্ষীয়া বিধবা সুষমা। এই দেবালয়ের সম্পূর্ণ ভার প্রাপ্ত হইল। যাদু ভট্টাচাৰ্য্য যাহা মনে স্থির করিয়া কাশীধাম ত্যাগ করিয়া বাঙ্গালা দেশের এই নির্জন পল্লীতে আগমন করিয়াতাহারই ব্যবস্থা করিয়া দিলেন। বিধবা কন্যাক প্রকৃত ব্ৰহ্মপরিণী "দেবসেবিকা করাই তাহার অভিপ্ৰায় ছিল—তিনি বহু অর্থব্যয়ে তাহাঁই করিলেন। তাহার মন অনেকটা নিশ্চিন্ত হইল ।