পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

শক্তি, তোমরা যা কিছু মূল্যবান মনে কর—যা কিছু তোমাদের আছে। সব তাঁর কাছে বলি দিলে তাঁর ক্ষুধা মিটিবে, তিনি তুষ্ট হবেন। পৃথিবীতে এ পর্য্যন্ত যত বিপ্লবী জন্মেছেন তাঁদের মত তোমাদের সকল আরাম, সকল সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, সকল সম্ভোগ, সকল অর্থ, সকল সম্পদ বলি দিতে হবে। রণক্ষেত্রে তোমরা তোমাদের পুত্রকে সৈনিক করে পাঠিয়েছ। কিন্তু মুক্তি দেবীর তৃষ্ণা তাতে মেটে নাই। তাঁকে তুষ্ট করার গোপন সন্ধান আমি তোমাদের দেখাব। আজ তিনি কেবলমাত্র যোদ্ধা, স্বাধীনতার ফৌজের সৈনিক পেলেই খুসী নন, আজ তিনি চান, বিদ্রোহীর দল—পুরুষ আর নারী বিদ্রোহীর দল—যারা আত্মবিলোপী বাহিনীতে যোগ দিতে প্রস্তুত—যাদের কাছে মৃত্যু ধ্রুব—যে সকল বিদ্রোহী শত্রুকে রক্তের নদীতে নিমজ্জিত করিতে কৃতসংকল্প। তাদের নিজের দেহের রক্ত প্রবাহিত হ’য়ে সে রক্তের নদী সৃষ্টি হ’বে। মুক্তি দেবী এই দাবী নিয়ে আমাদের দ্বারে উপস্থিত—

 তুম্ হামকো খুন দো, ম্য়ঁয় তুমকো আজাদী দ্যুঙ্গা,

 “আমাকে তোমরা রক্ত দাও, আমি তোমাদের মুক্তি দেব।”

 [শ্রোতাদের মধ্য হইতে স্বতঃস্ফুর্ত্ত সমবেত ধ্বনি-“আমরা প্রস্তুত—আমরা আমাদের রক্ত দিতে প্রস্তুত—গ্রহণ করুন।”]

 [—শ্রীসুভাষ, ১৯৪২ সালের ২২শে সেপ্টেম্বর ‘যতীন দাস দিবস’ ও ‘শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বক্তৃতা]

নেতাজীর স্বপ্ন

 ওরা বলে, আমি স্বপনচারী। আমি স্বীকার ক’রছি, আমি স্বপনচারীই বটে। সারাজীবন আমি স্বপ্ন দেখেছি; শিশুকাল