পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

মনস্থ করিলেন। সেখানে পিতা যাহা ভাবিয়াছিলেন তাহা হইল না। পাশ্চাত্য সভ্যতার চাকচিক্য তাঁহার মনকে আকৃষ্ট করিতে পারিল না। উপরন্ত তথাকার অধিবাসীদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, সামরিক ও বৈজ্ঞানিক শিক্ষা, আর্থিক অবস্থার সহিত ভারতবাসীর পরাধীনতা, শিক্ষার অভাব, আর্থিক দুর্দ্দশার তুলনা করিয়া তিনি মনে খুব দুঃখ অনুভব করিলেন।

 ভারতবাসীর অপমানে সুভাষচন্দ্র যেমন ব্যথিত হইতেন ভারতবাসীর সম্মানেও তিনি খুবই আনন্দিত হইতেন। ১৯১৯ খৃষ্টাব্দে লণ্ডনে শ্রীযুক্তা সরোজিনী নাইডু ও শ্রীযুক্ত রায় একটি সভাতে ওজঃস্বিনী ভাষায় বক্ত‌ৃতা করেন। সেখানে বহু লোক সমাগম হইয়াছিল। নাইডুকে সকলেই সন্মান করেন। সুভাষচন্দ্র এই বক্ত‌ৃতার বিষয় বলেন, “যে দেশ নাইডুর মত রমণীর জন্ম দিতে পারে সে দেশ স্বাধীন হইবেই।”

 অনেক ছাত্রই বিলাতে যাইয়া বাপের টাকা লইয়া ছিনিমিনি খেলা করে এবং বিলাস-বসনে অপব্যয় করে। কিন্তু সুভাষচন্দ্র অত্যন্ত মিতব্যয়ী ও পরিশ্রমী ছিলেন। বিলাত যাইবার মাত্র নয় মাসের মধ্যে সুভাষচন্দ্র I. C. S. পরীক্ষায় কেবল উত্তীর্ণ হন না পরন্তু তিনি পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেন এবং ইংরাজি রচনায় প্রথম হন। এই অল্প সময়ের মধ্যে I. C. S-এর মত কঠিনতম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সুভাষচন্দ্রের অসাধারণ বুদ্ধি ও পাণ্ডিত্যর পরিচয় দেয়।

 পরীক্ষায় পাশ করায় তিনি খুব দুঃখিত হইলেন কিন্তু