পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

কংগ্রেসের অধিবেশন হয়। সুভাষচন্দ্র ও জহরলাল কংগ্রেসের সাধনার সম্পাদক নিযুক্ত হন।

 নেহেরু কমিটি—ভারতে কি প্রকার শাসনতন্ত্র চালু হবে তাহা স্থির করিবার জন্য পণ্ডিত মতিলাল নেহেরুর সভাপতিত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়। নাম নেহেরু কমিটি। এই কমিটি পূর্ণ স্বাধীনতা না মানিয়া ঔপনিবেশিক স্বায়ত্বশাসন মূল নীতিরূপে মানিয়া লন। ইহাতে ব্রিটিশ সাম্রাজের মধ্যেই অংশীদার রূপে ভারতবর্ষকে থাকিতে হইবে। লক্ষ্ণৌতে সর্ব্বদলের একটি সম্মেলন হয়। তাহাতে অধিকাংশের মতে নেহেরু কমিটির স্বায়ত্ত্বশাসন প্রস্তাব পাশ হয় কিন্তু সুভাষচন্দ্র, জহরলাল প্রভৃতি চরমপন্থীদল ইহাতে অসন্তুষ্ট হইয়া “স্বাধীনতা সঙ্ঘ” নামক একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করিবার স্থির করেন। সুভাষচন্দ্র এই প্রথম কংগ্রেসের বিরুদ্ধাচরণ করেন।

 সাইমন কমিশন বয়কট —এই বৎসর বিলাত হইতে সাইমন সাহেবের নেতৃত্বে একটি রাজকীয় কমিশন ভারতে আসে। ইহার উদ্দেশ্য ছিল— ভারতের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা আলোচনা করা এবং ভারতকে কতটা দায়িত্বপূর্ণ শাসনভার দেওয়া যায় তাহা স্থির করা। কংগ্রেস এই কমিশনকে বয়কট করিবার প্রস্তাব করে। ১৯২৮ সালের ৩রা ফেব্রয়ারীতে ভারত “সাইমন ফিরিয়া যাও” বলিয়া বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। স্কুল-কলেজ দোকান-পাট বন্ধ হয়।

 ১৯২৮সাল—১৯২৮ সালের মে মাসে সুভাষচন্দ্র সবরমতী