পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
১৭

আশ্রমে মহাত্মাজীর সঙ্গে দেখা করিয়া তাঁহাকে পুনরায় আইন অমান্য আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করিতে অনুরোধ করেন কিন্তু মহাত্মা বলেন, “আমি ভগবানের কোন নির্দ্দেশ পাইতেছি না।”

 ১৯২৮ সালের মে মাসে সুভাষচন্দ্র পুণাতে মহারাষ্ট্র প্রাদেশিক কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন।

 ১৯২৮ সালে ডিসেম্বরে সুভাষচন্দ্র ভারতীয় যুব কংগ্রেসের কলিকাতা অধিবেশনের অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি হন। এই কংগ্রেসে তিনি প্রথম গান্ধীজীর মতের বিরুদ্ধে বক্ত‌ৃতা করেন।

 কলিকাতা কংগ্রেস—১৯২৮ সালে কলিকাতায় মতিলাল নেহরূর সভাপতিত্বে কংগ্রেসের অধিবেশন হয়। সুভাষচন্দ্র স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর নেতা হন।

 এই কংগ্রেসে উগ্রপন্থী দল ও নরমপন্থী দলের মধ্যে বিরোধ প্রবল হয়। উগ্রপন্থীদল চান—ব্রিটিশের সঙ্গে সকল সম্পর্ক বিচ্ছেদ করিয়া পূর্ণ স্বাধীনতা; এই দলে সুভাষচন্দ্র, জহরলাল ছিলেন। নরমপন্থীদল চান—ঔপনিবেশিক স্বায়ত্বশাসন অর্থাৎ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিতরে থাকিতে। এই দলে মতিলাল, মহাত্মা গান্ধী ছিলেন। মহাত্মাজী একটি প্রস্তাব করেন, “যদি ১৯২৯ সালের মধ্যে ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট নেহরু কমিটির রিপোর্ট মানিয়া লয় অর্থাৎ স্বায়ত্ব-শাসন দেয়, ভারত তাহা গ্রহণ করিবে; যদি তাহা না হয় তবে কংগ্রেস ১৯২৯ সালের শেষে অহিংস অসহযোগ আন্দোলন আরম্ভ করিবে”। সুভাষচন্দ্র ‘পূর্ণ স্বাধীনতার’ সংশোধন প্রস্তাব আনয়ন করেন কিন্তু সুভাষের প্রস্তাব ১৩৫০-