পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

পর গান্ধীজি ও মতিলাল বড়লাটের সঙ্গে দেখা করেন কিন্তু হতাশ হইয়া ফিরিয়া আসেন। সুভাষচন্দ্র এইরূপ ভিক্ষাবৃত্তি ও আপোষকরার বরাবরই বিরোধী। তিনি জীবনে কখনও কোন বড়লাট বা গভর্ণরের সঙ্গে দেখাকরেন নাই কারণ তিনি বিশ্বাস করেন স্বাধীনতা কখনও কেহ কাহাকে স্বেচ্ছায় দেয় না। আপোষ করে স্বাধীনতা পাওয়া যায় না।

 লাহোর কংগ্রেস—লাহোর কংগ্রেসে মহাত্মা নিজেই ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। লাহোর কংগ্রেসেও সুভাষচন্দ্র ও মহাত্মা চালিত নরমপন্থীদলের মধ্যে মতভেদ সুস্পষ্ট হয়। আরউইনের ট্রেনে বোমা ফেলা হয় এবং তিনি কোন প্রকারে বাঁচিয়া যান। মহাত্মা আরউইনের নিষ্কৃতির জন্য সমবেদনাজ্ঞাপক একটি প্রস্তাব করেন। সুভাষের দল ইহাতে আপত্তি করেন। সুভাষচন্দ্র লাহোর কংগ্রেসে ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টকে পূর্ণভাবে বয়কট করিয়া পাশাপাশি জাতীয় গভর্ণমেণ্ট প্রতিষ্ঠা করিবার এবং শ্রমিক, কৃষক ও যুবকদিগকে সঙ্ঘবদ্ধ করিবার প্রস্তাব করেন। উহা ভোটে অগ্রাহ হয়।

 সুভাষচন্দ্র তরুণ সম্প্রদায়ের নেতা হন এবং পূর্ণ স্বাধীনতার জন্য জোর আন্দোলন চালান এবং দেশকে স্বায়ত্বশাসনের প্রস্তাবে সন্তুষ্ট থাকিতে নিষেধ করেন।

 একটা জিনিষ লক্ষ্য করা যায় যে সুভাষচন্দ্র চিন্তায় সকলের অগ্রগামী ছিলেন। কলিকাতার কংগ্রেসে সুভাষের স্বাধীনতা প্রস্তাব অগ্রাহ্য হয় এবং পর বৎসর লাহোর কংগ্রেসে উহাই