পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
২১

গৃহীত হয়। লাহোরে সুভাষের আইন অমান্য আন্দোলন প্রস্তাব প্রত্যাখাত হয়, পর বৎসর কংগ্রেসে উহাই গৃহীত হয়। পরে দেখা যাইবে ত্রিপুরী কংগ্রেসে “ভারত ছাড়” প্রস্তাব প্রত্যাখাত এবং ১৯৪২ সালের কংগ্রেসে তাহাই যাদুমন্ত্ররূপে গৃহীত হয়। লাহোরে সুভাষচন্দ্র প্রস্তাব করেন যে কংগ্রেসের কার্যকরী সমিতির সভ্য সভাপতির দ্বারা মনোনীত না হইয়া গণতন্ত্রের ভিত্তিতে নিখিল ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতির দ্বারা নির্ব্বাচিত হউক। এই প্রস্তাবও প্রত্যাখাত হয়। কয়েক বৎসর পর আবার এই প্রস্তাবই গৃহীত হয়। লাহোর কংগ্রেসে শেষোক্ত প্রস্তাব প্রত্যাখাত হওয়ায় সুভষচন্দ্রের দল কংগ্রেসের প্যাণ্ডেল ত্যাগ করিয়া যান এবং দশ মিনিটের মধ্যে কংগ্রেস গণতান্ত্রিক নামক একটি দল গঠন করেন। ইহা গণতন্ত্রনীতির বিরোধী যে সভাপতি নিজের মনোমত সভ্য নিয়োগ করিবেন। সভাপতি জহরলাল সুভাষের দলের শ্রীনিবাস আয়েঙ্গারকে এবং সুভাষকে কার্যকরী সমিতির মধ্যে গ্রহণ করিলেন না। আয়েঙ্গারকে দেশ প্রেমিক এবং মাদ্রাজের হাইকোর্টের Advocate Generalএর পদ ত্যাগ করেন। তিনি ১৯২৬ সালের কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। এইরূপ লোককেও কার্যকরী সমিতির সভ্য করা হয় নাই। ইহার পর অয়েঙ্গার চিরজীবনের মত কংগ্রেস ত্যাগ করেন।

 বাংলায় বিরোধ—দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন ও সুভাষচন্দ্র দুই জনই দেশবন্ধুর প্রিয় অনুচর। দেশবন্ধুর মৃত্যুর সময় সুভাষচন্দ্র