পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
২৫

আটক থাকায় তাঁর স্বাস্থ্য ভাঙ্গিয়া যায়। অবশেষে গভর্ণমেণ্ট সুভাষকে চিকিৎসার জন্য ইউরোপে যাইতে অনুমতি দেয়। কিন্তু তিনি সেখানেও অবাধ স্বাধীনতা পান নাই এমন কি ইউরোপে যাইবার সময় তাঁহাকে মাবাপের সহিত দেখা করিতে দেওয়া হয় না।

 ইউরোপ ভ্রমণ—১৯৩৩ খৃষ্টাব্দে ২৩ শে ফেব্রূয়ারী সুভাষচন্দ্র ইউরোপ যাত্রা করেন এবং ৮ই মার্চ্চ ভিয়েনায় পৌছান। ভিয়েনা সহরের পৌর ব্যবস্থা দেখিয়া তিনি মুগ্ধ হন। ভিয়েনা পৃথিবীর মধ্যে একটি সুন্দর সহর। তিনি কলিকাতা শহরের ব্যবস্থাতে ঐ সব প্রণালী প্রবর্তন করিতে মনস্থ করেন। তিনি ভিয়েনায় সৈন্যদের কুচকায়াজে উপস্থিত ছিলেন। তাহাদিগের নিয়মানুবর্তিতা দেখিয়াও তিনি মুগ্ধ হন।

 অনেক ভারতবাসী বিদেশে যাইয়া স্ফ‌ুর্ত্তি করিয়া বাজে কাজে সময় ও অর্থের অপব্যয় করেন। স্বাধীন দেশে আমাদিগের অনেক শিখিবার বস্তু আছে। সে সব দেশের তুলনায় শিক্ষায়, চরিত্রে, শিল্পে, কৃষিবিদ্যায়, রাজনীতিতে সব বিষয়ে আমরা কত পশ্চাতে পড়িয়া আছি তাহা ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না। সুভাষ চন্দ্র যেখানেই গিয়াছেন সেখানেই ভারতের সর্ব্বাঙ্গীন উন্নতির জন্য তথ্য সংগ্রহ করিয়াছেন।

 এই সময়ে ভারতীয় রাষ্ট্রপরিষদের সভাপতি পরলোকগত বিঠল ভাই প্যাটেল ভিয়েনায় চিকিৎসার জন্য গমন করেন। দুইজন নেতা একঙ্গে ছিলেন এবং সুভাষচন্দ্র প্যাটেলের মৃত্যু