পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

পন্থের প্রস্তাবে পাশ হইল, গান্ধীজীর দল জিতলেন। সুভাষ চন্দ্রের নিউমোনিয়া অসুখ এত বাড়িয়া গেল যে ডাক্তার তাঁহাকে জব্বলপুরে হাঁসপাতালে কিংবা সেবা সদনে পাঠানর পরামর্শ দিলেন। সুভাষচন্দ্র বলিলেন, “আমি জবলপুরে হাঁসপাতালে যাইবার জন্য এখানে আসি নাই। কংগ্রেস শেষ হইবার পূর্ব্বে এখানে মরিব সেও ভাল তবুও অন্যত্র যাইব না।” তিনি অসুস্থতার জন্য শোভাযাত্রায় যোগ দিতে পারিলেন না। কংগ্রেস অধিবেশনেও পন্থের প্রস্তাব গৃহীত হইল। শুনা যায় পন্থের প্রস্তাবে স্বপক্ষে ভোট সংগ্রহের জন্য নরমপন্থীরা সমস্ত রাত তাঁবুতে ক্যানভ্যাস করেছিলেন। সুভাষচন্দ্র গান্ধীজির সঙ্গে মিটমাটের অনেক চেষ্টা করিলেন। গান্ধীজিকে কলিকাতায় আসিয়া ওয়ার্কিং কমিটির সভ্য নির্ব্বাচিত করিতে অনুরোধ করিলেন। তাহাতেও গান্ধীজি রাজি হলেন না। তৎপর সুভাষচন্দ্র অনেক পত্রালাপ করিলেন। তাহাতেও সমস্যার সমাধান হইল না। যখন কোন ফল হইল না তখন তিনি কলিকাতায় নিখিল ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতির অধিবেশন আহ্বান করেন। এখানে নরমপন্থীরা বিপুল সংখ্যায় জমা হইলেন। সুভাষচন্দ্র যখন সমস্ত আপোষ মীমাংসার কোন আশা দেখিলেন না তখন তিনি পদত্যাগ পত্র দাখিল করিলেন। তাঁহার স্থলে রাজেন্দ্র প্রসাদ সভাপতি নির্ব্বাচিত হন।

 সুভাসচন্দ্র ১৯৩৩ খৃষ্টাব্দের পর কংগ্রেসের ‘ভিক্ষাং দেহি’ নীতিকে অপছন্দ করিতেন। শক্তিশালী নেতার অধীনে